টিভি-র রিমোটের থেকেও ছোট একটি যন্ত্র। তাতে একটি মাত্র সুইচ। আর ওই সুইচ টিপেই বোঝা যাবে বাড়িতে গ্যাস লিক হচ্ছে কি না। কারণ গ্যাস লিক হলেই যন্ত্রটি বাজতে থাকবে। শুধু বাড়িতেই নয়, যন্ত্রটি ব্যবহার করা যাবে অন্যান্য ক্ষেত্রেও। যেমন, বদ্ধ ম্যানহোল বা কুয়োয় নামার আগেও দেখে নেওয়া যাবে নীচে বিপজ্জনক গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে কি না।
‘গ্যাস-লিক হান্টার’ নামে ছোট্ট এই যন্ত্রটির আবিষ্কর্তা শিবপুুরের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ (আইআইইএসটি)-র শিক্ষক ও ছাত্রেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের উদ্যোগে এবং ‘স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া’ (সিডবি)-র আর্থিক সাহায্যে যাঁদের আবিষ্কার এই প্রথম বিভিন্ন শিল্প সংস্থার মাধ্যমে সরাসরি খোলা বাজারে আসছে খুবই কম দামে। যন্ত্রটি সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে মাত্র দেড় হাজার টাকায়।
এ ছাড়া, শিবপুর আইআইইএসটি-র গবেষক শিক্ষক ও ছাত্রেরাই আবার এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ দম্পতিদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে। যন্ত্রটি থাকলে বাড়ির কেউ অসুস্থ হলেই খবর চলে যাবে তাঁদের গৃহ চিকিত্সকের মোবাইলে। শুধু তা-ই নয়, বিদ্যুতের বিল সাশ্রয় করার মতো যন্ত্রও চলে আসছে শিবপুর আইআইইএসটি-র হাত ধরে। তৈরি করা হয়েছে এমন বেলুন, যা আকাশে ওড়ার পরে নীচ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ভিতরে থাকবে উচ্চ ক্ষমতার ক্যামেরা, যা নীচ থেকে নিয়ন্ত্রণ করে তোলা যাবে ছবিও।
এমনই সব অভূতপূর্ব বৈজ্ঞানিক সাফল্যকে সামনে রেখে এই প্রথম শিবপুর আইআইইএসটি আয়োজন করেছিল সৃজন নামে একটি অনুষ্ঠানের। শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১২টি শিল্প সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞেরা। শিবপুর আইআইইএসটি-র ডিরেক্টর অজয় রায় জানান, আগে তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবিষ্কার এ ভাবে বিপণন করা যেত না। আইআইইএসটি হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা করায় এই প্রথম বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার বাজারে আসছে। অজয়বাবু জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে ১২টি যন্ত্রের বিপণনের জন্য যে ১২টি সংস্থা দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিদের এ দিন যন্ত্রগুলির কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে দেখানো হয়েছে।