ক্রিকেট কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীরামপুর
জেলার সেরা হয়ে সিএবি পরিচালিত মহকুমা ভিত্তিক অনূর্ধ ১৬ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল হুগলির শ্রীরামপুর মহকুমা। জেলা পর্যায়ের খেলায় হুগলির শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া এবং আরামবাগ চার মহকুমার ক্রিকেট দল অংশগ্রহণ করে। খেলাগুলি হয় জেলা সদর চুঁচুড়ায়। তিনটি দলকেই হারিয়ে দেয় শ্রীরামপুরের খুদেরা।
তাদের প্রথম খেলার প্রতিপক্ষ ছিল চুঁচুড়া। ৪৫ ওভারের পরিবর্তে খেলাটি ৩০ ওভরের হয়। প্রথমে ব্যাট করে চুঁচুড়া সাত উইকেট ১৩৬ রান করে। শ্রীরামপুরের ছেলেরা এগারো বল বাকি থাকতেই ওই রান তুলে ফেলে ৭ উইকেট হারিয়ে। পরের ম্যাচে চন্দননগরকে দাঁড়াতেই দেয়নি শ্রীরামপুর। প্রথমে ব্যাট করে তারা নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৯.৫ ওভারে ১০৬ রানেই অল আউট হয়ে যায়। দলের ১৬৪ রানে জয়ের পিছনে বড় অবদান তথাগত সিংহ এবং দিব্যা সিংহানিয়ার। তথাগত ৬৮ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেয়। দিব্যা করে ৮৩ রান। আরামবাগ মহকুমাকেও দুরমুশ করে দেয় শ্রীরামপুরের ছেলেরা। কার্যত বিনা প্রতিরোধে তারা ১০ উইকেটে জেতে। আরামবাগ ২৭ ওভার খেলে মাত্র ৪৩ রানে অল আউট হয়। শ্রীরামপুরের দুই ওপেনারই ৭ ওভারে ওই রান তুলে ফেলে।
প্রতিবন্ধীদের টেবিল টেনিস
মানসিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা হয়ে গেল হুগলির নসিবপুরে। মানসিক প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয় কিশলয়ের উদ্যোগে এবং বেঙ্গল টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএ) সহযোগিতায় সম্প্রতি তিন দিন ধরে আমন্ত্রণমূলক ওই প্রতিযোগিতা হয়। বিদ্যালয়ের টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ সেন্টারে আয়োজিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা দফতরের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক রঙ্গন মজুমদার। কলকাতা-সহ রাজ্যের ন’টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় থেকে ১০৭ জন মানসিক প্রতিবন্ধী এতে অংশগ্রহণ করেন। স্পেশাল অলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের দক্ষতা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। মোট দশটি বিভাগে খেলা হয়। মিক্সড ডাবলসে জয়ী হন কলকাতার হরিনাভি বিদ্যালয়ের শ্যামলী মোদক এবং অলোক হালদার। ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয় আয়োজক স্কুলের শেখ সাহিব আলি এবং পারমিনা খাতুন।
পারবাকসিতে প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়া
হাওড়ার জয়পুর পারবাকসিতে চিরনবীন সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবন্ধী মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল সম্প্রতি। প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি, উদ্বোধনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পাঁচটি ইভেন্টে ১২ থেকে ৩০ বছরের ত্রিশ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রতিটি বিভাগের প্রথম তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়। পরে সন্ধ্যায় নাচ-গান-আবৃত্তি-মূকাভিনয় পরিবেশন করেন প্রতিবন্ধী মহিলারা।