দলীয় কমীকে দেখতে হাসপাতালে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার। ছবি: মোহন দাস।
কলকাতার দলীয় সভা থেকে ফেরার পথে হরিপালের গোপীনাথপুর সংলগ্ন তারকেশ্বরের পিয়াসারায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপরে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ উঠেছিল রবিবারই। সোমবার আরামবাগ হাসপাতালে আক্রান্তদের দেখতে এসে‘কাপুরুষোচিত কাজ’ করেছে বলে তৃণমূলকে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিরা।
এ দিন হাসপাতালে আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের দ্রুত সুস্থ ও চাঙ্গা হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন ওই প্রতিনিধিরা। প্রত্যেকেই রবিবারের ‘হামলা’র নিন্দা করে ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন। দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার, দলের সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি সাকিল আনসারি এবং রাজ্য নেতা তথা প্রাক্তন ডিজি আর কে মহান্তি। অসীমবাবু বলেন, “তৃণমূলের অপশাসন এবং দুর্বৃত্তায়নের জন্য মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে বিজেপিতে ঝুঁকছেন। তার জন্য বিজেপির মিছিলে যাঁরা যাবেন, তাঁদের রাস্তায় পেটানো বা খুনের চক্রান্ত নিয়ে আক্রমণ করা কাপুরুষোচিত কাজ।” সাকিল বলেন, “সিপিএমের আমল থেকেই সন্ত্রাসমুক্ত আরামবাগ চেয়েছিলাম আমরা। তৃণমূলের আমলেও একই অবস্থা।”
লাঠি-বাঁশ এবং মুগুর নিয়ে তৃণমূলের জনা কুড়ি ছেলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপরে রবিবার রাতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জখম ৯ বিজেপি কর্মী-সমর্থককে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিখোঁজ সমর্থকদের পরে খোঁজ মেলে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। ভাল চিকিৎসা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ৮ জন এ দিন দুপুরে হাসপাতাল ছেড়ে দেন। হাসপাতাল চত্বরেই তাঁরা দলীয় নেতাদের কাছে এ নিয়ে অভিযোগও জানান। নেতারা হাসপাতালের সুপার শান্তনু নন্দীর সঙ্গে কথাও বলেন। সুপারের দাবি, “যথাযথ চিকিৎসাই চলছিল। কিন্তু আক্রান্তেরা অন্যত্র চিকিৎসা করাতে চাইছেন।”
কলকাতা ফেরার পথে বিজেপি নেতারা এসডিপিও (চন্দননগর) সৈকত ঘোষের কাছে তদন্তের দাবিতে স্মারকলিপি দেন। এসডিপিও জানান, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
দেহ উদ্ধার। সোমবার সকালে আরামবাগের মুথাডাঙার ১৭ নম্বর সেতু সংলগ্ন কানা মুণ্ডেশ্বরী খালে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানায়, বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির বাঁ পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।