এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের গৌরহাটি বাজার পাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বধূর নাম সুজাতা নন্দী (২২)। নিজের ঘরে কড়িকাটে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযুক্ত স্বামী উত্তম নন্দী, শাশুড়ী এবং ননদ পলাতক। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে বিয়ে হয় সুজাতার। বরপক্ষের চাহিদামত যৌতুক দেওয়া সত্ত্বেও বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে আরও টাকা দাবি করে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুজাতার উপরে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। মৃতার বাবা স্থানীয় ডিহিবয়রা গ্রামের প্রশান্ত ভুঁইয়া পুলিশের কাছে অভিযোগে বলেছেন, “মেয়ের বিয়েতে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫ ভরি সোনা ও অন্যান্য সামগ্রী যৌতুক দেওয়ার পরেও প্রায়ই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য সুজাতাকে চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু আমার পক্ষে আর টাকা দেওয়া সম্ভব ছিল না। টাকা না পেয়ে ওরা মেয়েকে মারধর করত। খেতেও দিত না। মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।” তাঁর আরও দাবি, মঙ্গলবার বিকাল ৩টো নাগাদ মেয়ে ফোন করে তাঁকে বলেছিল, ‘তুমি তাড়াতাড়ি এসো। না হলে, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে’। এর পর বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ গিয়ে তিনি মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান।