লকডাউন পর্বের পর দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ছয় লেনের কাজে ফের হাত দিচ্ছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হবে বলে সব পক্ষের আশা। ডানকুনি থেকে পালসিট ১২৯ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন পর্যায়ে ওই কাজে আপাতত বরাদ্দ হয়েছে ১৬০০ কোটি টাকা।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনি থেকে দুর্গাপুর এবং দুর্গাপুর থেকে পালসিট— এই দুটি পর্যায়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে (২ নম্বর জাতীয় সড়ক) কাজ হবে। সড়ক সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন চেহারায় একেবারে ভিন্ন কলেবরে এই সড়ককে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। একাধিক আন্তর্জাতিক মানের সংস্থাকে গ্লোবাল টেন্ডারের মাধ্যমে ওই সড়ক তৈরির বরাত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
কর্তৃপক্ষের কাছে এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা। কারণ, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা নিয়ে প্রায়ই নিরাপত্তার অভাব নিয়ে অভিযোগ ওঠে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডানকুনি থেকে পালসিটের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন একটা অন্তত দুর্ঘটনার খবর মেলে। জাতীয় সড়ক (২) প্রকল্প অধিকারিক (পিডি) স্বপনকুমার মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের নতুন পরিকল্পনায় দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা এবং ডানকুনি এবং পালসিটে টোলপ্লাজার আগে যানজট কমানোর বিষয়টি অবশ্যই প্রধান্য পাবে। অনেক সেতু, আন্ডারপাস তৈরি করা হবে হুগলি, বর্ধমান ও দুর্গাপুরে।’’
গ্রামবাসীরা এক্সপ্রেসওয়ের মাঝের অংশে যেখানে গাছ লাগানো হয় সেখানে অনেক সময় গরু, ছাগল বেঁধে দিয়ে চলে যান। গরুর দড়িতে বহু সময় মোটরবাইক, গাড়ি আটকে দুর্ঘটনা ঘটে। এই সব ঘটনা এড়াতে মূলত দুটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনায়। প্রথমত সার্ভিস রোডকে চওড়া করা হবে। পাশাপাশি গ্রামবাসী বা হকারেরা যাতে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে না পারেন সে জন্য রাস্তার ধার জাল দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে।
ওই প্রকল্পের অন্যতম কর্তা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ নতুন পরিকল্পনায় এক্সপ্রেসেরওয়ের পাশে এমনভাবে সার্ভিস রোড বা আন্ডারপাস তৈরি করা হবে যাতে কারও জন্য গাড়ির গতি রুদ্ধ না হয়। এই রাজ্যে জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা কারণে সার্ভিস রোড তৈরিতে সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা এখন মিটে গিয়েছে।’’