ফের ডিজে, শব্দবাজির বিরুদ্ধে পথে মহিলারা

দুর্গাপুজোর আগেও চুঁচুড়ার একটি বিজ্ঞান সংস্থা-সহ একাধিক সংগঠন এ নিয়ে প্রচার-আন্দোলনে নামে। এগিয়ে এসেছিল পুলিশও। তাতে ফল মেলে বলেও সংশ্লিষ্ট লোকজনের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৮
Share:

সচেতনতায়: রাজবলহাটে মিছিল। ছবি: দীপঙ্কর দে

দুর্গাপুজোয় হুগলি শিল্পাঞ্চলের অনেক জায়গাতেই ডিজের দাপট ছিল না। এ বার কালীপুজো-ছটপুজোতেও ডিজে এবং শব্দবাজিকে দমিয়ে রাখার দাবিতে পথে নামলেন সাধারণ মানুষ। সামাজিক সংগঠনের প্রচারে পাশে দাঁড়িয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। ফের রাজবলহাটে পথে নেমেছেন মহিলারাও।

Advertisement

দুর্গাপুজোর আগেও চুঁচুড়ার একটি বিজ্ঞান সংস্থা-সহ একাধিক সংগঠন এ নিয়ে প্রচার-আন্দোলনে নামে। এগিয়ে এসেছিল পুলিশও। তাতে ফল মেলে বলেও সংশ্লিষ্ট লোকজনের দাবি। তাই দুর্গাপুজো মিটতেই ফের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি পথে নেমেছে। রবিবার চুঁচুড়ার তোলাফটকে সচেতনতা শিবির হয় ওই বিজ্ঞান সংস্থার তরফে। সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন এসেছিলেন। এ দিন জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রাজবলহাটে দ্বিতীয় দফায় মহিলারা পথে নামেন। মৌনী-মিছিল হয়। কচিকাঁচারাও তাতে শামিল হয়েছি‌ল। মিছিলকারীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড।

এডিসিপি (ট্র্যাফিক) হরিকৃষ্ণ হালদার থেকে কলেজ শিক্ষক, অভিনেত্রী-সহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ শামিল হন। অনেকেই জানান, প্রচারে মানুষ সচেতন হচ্ছেন। অনেকেই অনুযোগ করেন, ডিজে বা শব্দবাজির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

Advertisement

স্বেচ্ছাসেবী মঞ্চের উদ্যোগে শ্রীরামপুর এবং রিষড়াতেও প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। সেখানেও পুলিশের তরফে ‘পাশে থাকা’র আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুরে গত কয়েক বছর ধরেই কালীপুজোর মুখে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়। একটি নাগরিক সংগঠনের কর্তারা জানান, উত্তরপাড়া, কোন্নগরেও এমন কর্মসূচি নেওয়া হবে। কমিশনারেটের ডিসি (সদর) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডিজে ব্যবসায়ীদের জান‌িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁরা যাতে ডিজে ভাড়া না দেন। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিজে বাজেয়াপ্ত করা হবে। কেউ শব্দবাজি ফাটালে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে। শব্দবাজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। সাধারণ মানুষ নির্দ্বিধায় পুলিশে অভিযোগ জানাতে পারেন।’’ চুঁচুড়ায় অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শুধু উৎসবের মরসুম নয়, ডিজে-র সমস্যা সারা বছরের। কমিশনারেটের কর্তারা জানান, ওই সমস্যা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে বছরভর লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এই উদ্যোগে সায় দিয়েছে।

দুর্গাপুজোয় শিল্পাঞ্চলে সচেতনতা দেখা গেলেও হুগলি (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এলাকাভুক্ত অনেক জায়গায় গতানুগতিক ভাবে তারস্বরে ডিজে বেজেছে বলে অভিযোগ। হরিপালে লক্ষ্মীপুজোয় ডিজে-র দাপটে জেরবার হয়েছেন মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement