West Bengal Lockdown

আজ কোনও ছাড় নেই হাওড়ায়

হাওড়া জেলার পুরোটাই ‘রেড জ়োন’। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হলেও আজ থেকে ‘রেড জ়োন’-এর ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া-উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০২:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউনের মধ্যেও আজ, সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু হাওড়ায় তা কার্যকর হবে না। লকডাউন যেমন চলছে, তেমনই চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

হাওড়া জেলার পুরোটাই ‘রেড জ়োন’। আগামী ১৪ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হলেও আজ থেকে ‘রেড জ়োন’-এর ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা দেয়নি। ফলে, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশিকা আসার পরেই ছাড়ের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হবে।’’

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাওড়াকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হাওড়া পুর এলাকা, বাকিটা গ্রামীণ এলাকা। পুর এলাকায় সংক্রমণের হার গ্রামীণ এলাকার থেকে অনেক বেশি। ‘রেড জ়োনের মধ্যে আবার দু’টি ভাগ— ‘কন্টেনমেন্ট’ বা ‘গণ্ডিবদ্ধ’ এলাকা, বাকিটা তার বাইরে।

Advertisement

হাওড়া পুর এলাকায় ‘গণ্ডিবদ্ধ’ রয়েছে ৪৪টি এলাকা। গ্রামীণ এলাকায় ১২টি। কেন্দ্রের নির্দেশিকা বলছে, গণ্ডিবদ্ধ এলা্কায় কোনও ছাড় না মিললেও তার বাইরে যে সব এলাকা আছে, তাতে কিছু ছাড় দেওয়া হবে। সেই মতো অত্যাবশ্যক নয়, এমন কিছু ব্যবসায়ী এবং কারখানা-মালিক তাঁদের দোকান-কারখানা খুলতে চেয়ে রবিবার জেলার বিভিন্ন ব্লক অফিসে গিয়ে আর্জি জানান। কিন্তু তা মানা হয়নি।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, যাঁরা দোকান বা ব্যবসাকেন্দ্র খুলতে চান তাঁদের না করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।, রাজ্য প্রশাসনের

কোনও নির্দেশিকা আসেনি। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার ভিত্তিতে কেউ যদি কারখানা বা দোকান খোলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

হুগলি রয়েছে ‘অরেঞ্জ জ়োন’-এ। জেলার ১৩টি পুর এলাকাই ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’। একই বন্ধনীতে রয়েছে ১১টি পঞ্চায়েত এলাকাও। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানিয়েছেন, গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় মিষ্টির দোকান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খুলে রাখা যাবে। এ ছাড়া, মুদিখানা এবং ওষুধের দোকান ছাড়া আর কোনও দোকান খুলবে না। বাজার মানুষের বাড়িতে পৌঁছে যাবে। যে কোনও এলাকাতেই কারখানা খুলতে গেলে মুখ্যসচিবের অনুমতি লাগবে। গণ্ডিবদ্ধ নয়, এমন এলাকায় একক দোকান খোলার ক্ষেত্রে প্রতিটি আবেদন (কেস টু কেস) আলাদা করে বিবেচনা করা হবে। রাজ্য সরকার নতুন করে নির্দেশিকা না দেওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থাই চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement