জল সমস্যা মেটাতে সাঁকরাইলে একটি জল প্রকল্প করার পরিকল্পনা করেছিলেন বিধায়ক শীতল সর্দার। ফের বিধানসভা নির্বাচন সামনে। কিন্তু সাঁকরাইলে ওই জল প্রকল্প আজও তৈরি হল না। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র জমি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তো? ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সাঁকরাইল থানার কাছে ১১ কাঠা সরকারি জমির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে সেটা দেখে আসাও হয়েছে। পরিকল্পনা হয়েছে ওই জমিতেই জল প্রকল্পটি করা হবে।’’
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সাঁকরাইল, দক্ষিণ সাঁকরাইল, বাণীপুর ১ ও ২ পঞ্চায়েত, সারেঙ্গা, নলপুর, রঘুদেববাটি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা রয়েছে। কোথাও নলবাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই. কোথাও সেই ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে ওই সব পঞ্চায়েত এলাকার লোকেদের নির্ভর করতে হয় শুধুমাত্র নলকূপের উপর। কিন্তু সেখানও সমস্যা রয়েছে। যেমন, কোথাও নলকূপ খারাপ, কোথাও নলকূপ ঠিক থাকলেও তার জল পানের অযোগ্য।
স্বাভাবিক ভাবেই জলপ্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সমস্যা মিটবে বলে আশা করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু আরও একটি বিধানসভা নির্বাচন এসে গেলেও প্রকল্প বাস্তবরূপ পেল না।
রঘুদেববাটির বাসিন্দা রেজমান সর্দার, রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা এখানে সারা বছরই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগি। গরম পড়লে কার্যত আতঙ্কে থাকি। নেতারা সবই জানেন। ভোট আসে আর নেতাদের মুখে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ঝরে। কাজের কাজ কিছু হয় না।’’ সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তারক নস্কর বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন সময় জল প্রকল্পের দাবি করেছি। কিন্তু এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি বা বিধায়ক গুরুত্ব দেননি।’’
জল সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিদায়ী বিধায়ক শীতল সর্দার। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু রয়েছে। তাই এখন এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার নির্বাচনের পরে বলব।’’