প্রতীকী ছবি।
চড়া দামে বিক্রি রুখতে বুধবার বৈদ্যবাটীতে আনাজের পাইকারি হাটে নজরদারি চালাল প্রশাসন।
দিন কয়েক আগে শেওড়াফুলি থেকে ওই হাট বৈদ্যবাটীতে দিল্লি রোড লাগোয়া কৃষক বাজারে উঠে যায়। নতুন জায়গায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে আনাজ বিক্রির অভিযোগ উঠছিল। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও আগেই জানিয়েছিলেন, দামের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নজরদারি চালানো হবে। মাঝরাত থেকেই ওই হাট শুরু হয়। শুরুতে বিভিন্ন আনাজের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি থাকলেও এ দিন পরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, আনাজের জোগান বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে। প্রশাসনের তরফে দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য হুগলি জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সচিব শেখ ফিরদোসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তাঁর দাবি, ‘‘দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল। কয়েকটি জিনিস সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে কম দামে বিকিয়েছে।’’
ভিড় এড়াতে বলাগড়ের বিডিও সমিত সরকার জানিয়েছেন, চাষিরা নিজেদের এলাকায় আনাজ বেচবেন। মাইকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। জিরাট ব্যবসায়ী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক প্রতুলচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘আগেই এলাকার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছিল। কয়েকজন শুনছিলেন না। প্রশাসন ঠিক সিদ্ধান্তই করেছে।
তারকেশ্বর পুর-এলাকা ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’। অথচ শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে আনাজের হাটে শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত বলেন, ‘‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পান্ডুয়ায় যথাযথ ভাবে লকডাউন মানতে বুধবার গ্রামবাসীদের কাছে মাইকে আবেদন জানাল পুলিশ-প্রশাসন।