নিজেদের পরিচালনাধীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সংস্কারে উদ্যোগী হল উলুবেড়িয়া পুরসভা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোর উন্নতিতে ভবন সংস্কারের পাশাপাশি সেখানে স্থায়ী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হবে। এর জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় এক কোটি টাকা। জাতীয় নগর স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্প থেকে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। টেন্ডার হয়ে গেছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার অধীনে চারটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে একটি পুরসভা চত্বরেই থাকা মাতৃসদন। বাকি তিনটি ফুলেশ্বর, চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়াতে। এর মধ্যে একমাত্র মাতৃসদনেই কয়েক জন চিকিৎসক রয়েছেন। মাতৃসদনে শুধুমাত্র বহির্বিভাগে সাধারণ চিকিৎসা হয়। বাকি তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও স্থায়ী চিকিৎসক নেই। মাতৃসদন থেকেই চিকিৎসকরা মাঝেমধ্যে ওই তিনটি চিকিৎসাকেন্দ্রে যান। সেগুলিতেও কোনও বহির্বিভাগ নেই। কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী সেখানে থাকেন। গর্ভবতী মহিলা, শিশুর মায়েদের পরামর্শ দেওয়া, শিশুদের টিকাকরণ করা হয়। এর বাইরে সেখানে কোনও পরিষেবা কার্যত মেলে না বলে অভিযোগ।
পুরসভা সূত্রে খবর, ওই তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ বার পুরোদমে বহির্বিভাগ চালু করা হবে। স্থায়ী চিকিৎসক থাকবেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য দুজন করে চিকিৎসক, প্রয়োজন অনুযায়ী নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান (স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্বাসউদ্দিন খান বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বহির্বিভাগ চালু হচ্ছে। পরে অন্তর্বিভাগও চালু করা হবে। তবে মাতৃসদনে অবিলম্বে অন্তর্বিভাগ চালু ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।’’
চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহির্বিভাগ চালু হলে স্থানীয় মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। কারণ উলুবেড়িয়া শহরেই মহকুমা হাসপাতাল থাকায় স্থানীয়দের সেই অর্থে সমস্যায় পড়তে হয় না। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয় চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়ার বাসিন্দাদের। জ্বর-সর্দিতেও তাঁদের ছুটতে হয় কয়েক কিলোমিটার পথ উজিয়ে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে কিংবা বাউড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু চেঙ্গাইল ও বাউড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্হিবিভাগ ও অর্ন্তবিভাগ চালু হলে সেখানকার মানুষের আর ওই অসুবিধা থাকবে না বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।