প্রতীকী চিত্র।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের আওতায় থাকা মগরা এবং পোলবা থানা চন্দননগর কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে, গ্রামীণ পুলিশের অধীনে থাকা চণ্ডীতলা থানাকে এখনই যুক্ত করা হচ্ছে না কমিশনারেটে।
চলতি বছরের জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুড়াপে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে ঘোষণা করেছিলেন, গ্রামীণ হুগলির মোট তিনটি থানাকে (মগরা, পোলবা এবং চণ্ডীতলা) যুক্ত করা হবে কমিশনারেটে। কিন্তু আপাতত মগরা ও পোলবা থানাকে কমিশনারেটে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে এবং তা কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর।
কিন্তু কেন চণ্ডীতলাকে কমিশনারেটে আনা হচ্ছে না? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, চণ্ডীতলায় বেশ কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে। তাই চণ্ডীতলাকে দু’টি থানায় বিভক্ত করার ভাবনাচিন্তা চলছে। এ ব্যাপারে দেখেশুনে এগোতে
চাইছে প্রশাসন।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে হুগলি শিল্পাঞ্চলের সাতটি থানাকে নিয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট তৈরি হয়। কিন্তু কমিশনারেটের আওতাধীন এলাকা নিয়েই সেই সময় পুলিশই মহলে প্রশ্ন ওঠে। জেলায় কর্মরত এক প্রবীণ পুলিশ অফিসার জানান, উত্তরপাড়া থেকে মগরা পর্যন্ত গঙ্গা লাগোয়া এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনা থেকে বহু দুষ্কৃতী এসে দুষ্কর্ম। তারপরে নৌকায় গঙ্গা পেরিয়ে তারা গা ঢাকা দেয় নৈহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়ার মতো এলাকাগুলিতে। আবার বাঁশবেড়িয়ার ঈশ্বরগুপ্ত সেতু পার হয়েও বহু সময় দুষ্কৃতীরা হুগলিতে আসে। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে একের পর দুষ্কর্ম করে নদিয়ার কুপার্স ক্যাম্প এলাকাতেও পালিয়ে যায় দুষ্কতীরা।
সেই সময় পুলিশ আধিকারিকদের একাংশের মত ছিল, মগরা এবং পোলবা থানাকেও কমিশনারেটে যুক্ত করা হোক। সে ক্ষেত্রে পোলবার দিল্লি রোডে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি রোখা সহজ হবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের কাছে ওই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী হুগলিতে এসে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানান। গোঘাট এবং খানাকুল থানাকে ভেঙেও আরও নতুন দু’টি থানার প্রস্তাব দীর্ঘদিন আগেই দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার তথাগত বসু।