মুম্বই রোডে জোড়া দুর্ঘটনা, মৃত ২

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। তবু খবর দেওয়ার পরে পুলিশ আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ঘটনাস্থলে দেরি করে আসার অভিযোগ পুলিশ মানেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ০২:০০
Share:

দুমড়ে-মুচড়ে: দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

পৃথক দু’টি পথ দুর্ঘটনায় শনিবার উলুবেড়িয়ায় মুম্বই রোডে মৃত্যু হল দু’জনের। জখন হন অন্তত ১০ জন। ফের এই জোড়া দুর্ঘটনায় ওই সড়কে পুলিশি নজরদারি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। একটি মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশকে বিক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ একটি দুর্ঘটনা ঘটে পানপুর মোড়ের কাছে। সেখানে কলকাতামুখী ‘লেনে’র রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে পণ্য খালাস করছিল একটি লরি। সেই সময় সেখানে জনানয়েক যাত্রী নিয়ে একটি ম্যাটাডর চলে আসে। ম্যাটাডরের পাশে ছিলেন এক সাইকেল আরোহী। এই অবস্থায় উল্টো দিকের ‘লেন’ ভেঙে ঢুকে আসা একটি অটোর সঙ্গে ম্যাটাডরটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ম্যাটাডরে থাকা যাত্রীদের মধ্যে দ্রোণ পোল্লে (৫৫) নামে এক দিনমজুর রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পিছনে আসছিল বালি বোঝাই একটি লরি। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া-শ্রীকৃষ্ণপুরের ওই প্রৌঢ়ের। দেহটি লরিতে জড়িয়েও যায়। স্থানীয় লোকজন চেঁচামেচি করে লরিটি থামিয়ে দেহটি উদ্ধার করেন। তার পরেই শুরু হয় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। দুর্ঘটনায় জখম হন সাইকেল আরোহীও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থানা। তবু খবর দেওয়ার পরে পুলিশ আসতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। রাস্তার ধারে অবৈধ পার্কিং বন্ধ এবং এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী যে ভাবে ইট-বালি-স্টোনচিপসের মতো নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পুলিশকে ঘিরে ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

ঘটনাস্থলে দেরি করে আসার অভিযোগ পুলিশ মানেনি। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘জাতীয় সড়কে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য মামলা করা হয়।’’ একই সঙ্গে জাতীয় সড়কে বেশি নজরদারির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে এক ঘণ্টা পরে, উলুবেড়িয়ারই কদমতলায়। কলকাতাগামী একটি দূরপাল্লার বাস হঠাৎই সেখানে যাত্রী নামানোর জন্য থামে। পিছনের একটি ম্যাটাডর বাসটিতে ধাক্কা মারে। ম্যাটাডরের চার যাত্রী জখম হন। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহম্মদ মেহমুদ আলম কুরেশিকে (৫৫) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তিনি হাওড়ার শিবপুর এলাকার বাসিন্দা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement