নির্যাতিতার পাশে। মোহন দাস
তৃণমূল পরিচালিত গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা আদিবাসী মহিলা পুতুল মুর্মুকে মারধর এবং শ্লীলতহানির অভিযোগ উঠেছে দলেরই পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফরিদ খানের বিরুদ্ধে। তার শাস্তি চেয়ে সোমবার মিছিল করল গোঘাটের একটি আদিবাসী সংগঠন। রবিবার দুপুরে ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’ নামে ওই সংগঠনের হাজার খানেক আদিবাসী মহিলা-পুরুষ ধামসা-মাদল, তির-ধনুক, টাঙ্গি নিয়ে কামারপুকুর চটি থেকে মিছিল করে এসে গোঘাট-২ এর বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দেন।
সংগঠনের চার দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল, আদিবাসী মহিলার গায়ে হাত দেওয়ার অপরাধে ফরিদ খানের চরম শাস্তি ও তার সদস্য পদ বাতিল এবং সভাপতির জন্য পুলিশি নিরাপত্তা। সংগঠনের গোঘাট সভাপতি সহদেব সরেনের অভিযোগ, “আদিবাসী মহিলার গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনায় আমাদের সমাজ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাই প্রশাসনের কাছে অভিযুক্তর চরম শাস্তি দাবি করা হয়েছে।’’ এদিন বিডিও অরিজিৎ দাস না থাকায় যুগ্ম বিডিও রবীন্দ্রনাথ হাজরার কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা। যুগ্ম বিডিও বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
স্থানীয় একটি স্কুলের টিচার ইনচার্জ নিয়োগকে কেন্দ্র করে গোলমালে গত ২১ মার্চ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফরিদ খানের বিরুদ্ধে সভাপতি পুতুল মুর্মুকে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। সভাপতির অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়।