টালা সেতুতে ভারী যানের প্রবেশ বন্ধের নোটিস।—ফাইল চিত্র।
তিন টনের চেয়ে ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়েছে টালা সেতুতে। এর জেরে হাওড়ায় গাড়ির সংখ্যা এক ধাক্কায় প্রায় ৯ হাজার বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে রাত বাড়লেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত মারাত্মক আকার নিচ্ছে যানজট। বিশেষত সমস্যায় পড়ছেন সেই সব ছোট গাড়ির চালকেরা, যাঁরা প্রায় রোজই বর্ধমান বা কোলাঘাট যাতায়াত করেন। রাত ৮টার পরে কলকাতা থেকে বেরিয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে পড়লে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত পৌঁছতেই এক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
এই সমস্যা মেটাতে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসি (ট্র্যাফিক) অর্ণব বিশ্বাস জানান, যাঁরা ব্যক্তিগত গাড়ির মালিক তাঁদের কলকাতা থেকে বর্ধমান বা কোলাঘাট যাওয়ার জন্য বিদ্যাসাগর সেতুর বদলে হাওড়া সেতু ব্যবহার করতে আবেদন জানানো হচ্ছে। ওই সব গাড়ি হাওড়া সেতু, বঙ্কিম সেতু, ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস দিয়ে দাশনগর হয়ে জাতীয় সড়কে পড়বে। পুলিশকর্তাদের দাবি, ওই রাস্তায় গেলে মাত্র আধ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে জাতীয় সড়কে। উল্টো পথে যাঁরা আসবেন, তাঁদের সলপ মোড়, বাঁকড়া, দাশনগর হয়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই রুটগুলির জন্য রাজ্য পূর্ত দফতরকে রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। রাস্তা সারাতে বলা হয়েছে হাওড়া পুরসভাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে ফ্লেক্সের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
ডিসি (ট্র্যাফিক) বলেন, ‘‘টালা সেতুর জন্য হাওড়া ও কলকাতা দু’দিক থেকেই গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার বেড়ে গিয়েছে। ফলে রাত হলে যানজটের জেরে কমে যাচ্ছে গাড়ির গতি।’’ তিনি জানান, মূলত সাঁতরাগাছি সেতুতে গাড়ি ওঠার সমস্যার জন্য গতি কমে যাচ্ছে। ফলে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ছে টোল প্লাজা পর্যন্ত।