টোটো ভাঙার কাজ শুরু হাওড়ায়

পুজোর আগেই হাওড়ায় আট হাজার টোটো মালিককে ই-রিকশা পাওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছিল পরিবহণ দফতর। এ দিন থেকে শুরু হয়েছে টোটো ভাঙার কাজ। এখন থেকে প্রতিদিনই ওই কাজ চলবে।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

টোটো বন্ধ করে রাজ্য সরকার স্বীকৃত ই-রিকশা শহরে চালানোর পথে আরও এক কদম এগোলো হাওড়া জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে হাওড়ায় টোটো ভাঙার কাজ চালু হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ টোটো ভেঙে লোহার স্ক্র্যাপের সার্টিফিকেট প্রশাসনের থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তবেই সরকার স্বীকৃত ডিস্ট্রিবিউটরের থেকে ই-রিকশা কিনতে পারবেন টোটো মালিকেরা। তার পরেই তাঁরা ই-রিকশার জন্য আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের থেকে গাড়ির নম্বর পাবেন। রাজ্যে তাঁরাই প্রথম টোটো বন্ধ করে ই-রিকশা চালুর ব্যাপারে এত দূর এগিয়েছেন বলে দাবি করেছেন হাওড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

Advertisement

বছর দু’য়েক আগেই টোটোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। তা সত্ত্বেও হাওড়ায় বেআইনি টোটোর দাপট কমেনি। দীর্ঘ টালবাহানার পরে অবশেষে টোটো বাতিল করে ই-রিকশা নামাতে জোড়াজুড়ি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

পুজোর আগেই হাওড়ায় আট হাজার টোটো মালিককে ই-রিকশা পাওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছিল পরিবহণ দফতর। এ দিন থেকে শুরু হয়েছে টোটো ভাঙার কাজ। এখন থেকে প্রতিদিনই ওই কাজ চলবে।

Advertisement

আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, স্ক্যাপ সার্টিফিকেট না দেখে ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেবে না পরিবহণ দফতর।

হাওড়ার শহরাঞ্চলে টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ-সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক। পুলিশের হিসেবে শুধুমাত্র হাওড়া পুরসভা এলাকাতেই প্রায় ২৫ হাজার টোটো চলছে। তার জেরে শহরের যানবাহনের গতি কমে গিয়েছে।

পুলিশের কাছ থেকে এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রাজ্য পরিবহণ দফতর অবিলম্বে হাওড়ায় ই রিকশা চালবার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন পুরসভা ও পুলিশের দেওয়া প্রায় আট হাজার টোটোর ‘টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর’ বা ‘টিন নম্বর’ দেখে টোটোমালিকদের ই- রিকশার জন্য আবেদন করতে বলে।

যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টোটো মালিক টোটোর পরিবর্তে ই- রিকশা কেনার জন্য আবেদন করেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে পুলিশ প্রশাসন ও আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানায়, হাওড়ায় মোট ৮০টি রুট তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা ই- রিকশা কেনার যোগ্য হবেন তাঁদের যেমন ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, তেমনই রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পের আওতায় কিছু টাকা ঋণও মিলবে। এ ছাড়া গাড়ি কেনার আগে পুরনো টোটোকে ভেঙে দিয়ে স্ক্র্যাপ করে দেওয়া হবে।

হাওড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা এই প্রক্রিয়ায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না। টোটো ভাঙা থেকে শুরু করে মালিকের স্বাক্ষর- সহ সব কিছুরই ভিডিও করা হয়েছে।’’ আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের ওই কর্তা জানান, শহরের বিভিন্ন অংশে ডিস্ট্রিবিউটরেরা টোটো ভাঙার কাজের জায়গা নির্ধারণ করছেন। সেই সব জায়গায় ভাঙার কাজ চলবে।

ওই কর্তা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৭০০ জনকে অফার লেটার দেওয়া হয়েছে। বাকিদের খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে।’’

সূত্রের খবর, শুধুমাত্র একটি রুটের জন্য দু’হাজার আবেদন পত্র জমা পড়েছে। কারা পারমিট পাবেন তার জন্য লটারি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement