গোষ্ঠী-কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না বলে শনিবারই হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছিল তৃণমূলের হুগলি জেলা কোর কমিটির বৈঠকে। প্রয়োজনে দল থেকে বরখাস্তের সতর্কবার্তাও ছিল। কিন্তু শনিবার সিঙ্গুরে কমিটির কর্তাদের সেই হুঙ্কারের আয়ু ২৪ ঘণ্টাও স্থায়ী হল না। রবিবার সিঙ্গুরেই দলের ব্লক সভাপতি বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে এক মিছিলে দেখা গেল না স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য এবং তাঁর দুই অনুগামীকে।
রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে বেচারামবাবুর ‘দ্বন্দ্ব’ নতুন নয়। দুই নেতার কাজিয়া বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ছবিটা পাল্টায়নি। রবিবারের ওই মিছিলে তাঁদের ডাকা হয়নি বলে দাবি করেছেন বিধায়ক এবং তাঁর অনুগামী হিসেবে পরিচিত ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মহাদেব দাস এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস। তাঁরা বলেন, ‘‘আমন্ত্রণ পাইনি।’’
বেচারামবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমন্ত্রণ আবার কী?’’ তিনি বলেন, ‘‘দলের মিছিল। পোস্টার দেখে এত লোক এলেন। কাউকেই তো চিঠি দেওয়া হয়নি।’’
কেন্দ্র সরকারের নোট বাতিল, জিএসটি-সহ নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ দিন ওই মিছিল হয়। প্রতিবাদস্বরূপ একটি শববাহী গাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল নিয়ে যাওয়া হয়। মিছিলে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বেচারামবাবুর নামে স্লোগান দিতে থাকেন। কর্মী-সমর্থকেরা মনে করছেন, দল যতই কড়া বার্তা দিক, এখানে দুই নেতার কোন্দল মেটার নয়।