শোকার্ত: সৌরভের মৃতদেহ আঁকড়ে কান্না মায়ের। ছবি: দীপঙ্কর দে
একদিন পালিয়ে থাকার পরে বুধবার রাতে তারকেশ্বর-কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজেশ দাস এবং তাঁর স্ত্রী কাজলকে শ্রীরামপুরের বটতলা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজেশের ভাই বিশ্বজিৎকে।
মঙ্গলবার রাতে ঝড়বৃষ্টিতে ছিঁড়ে পড়া বিদ্যুতের তার থেকে দুর্ঘটনা হতে পারে, এই ভেবে তারকেশ্বরের বালিগোড়ির বাসিন্দা অরূপ পাত্র ট্রান্সফর্মারের ‘চেঞ্জার’ নামিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’ বাড়ির সামনের মাঠে ডেকে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী রাজেশ ও তাঁর ভাই বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে। বাবার আর্ত চিৎকার শুনে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়ে মারা যায় অরূপের ছেলে সৌরভ। বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে খুনের এবং রাজেশের বিরুদ্ধে অরূপকে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়। রাজেশের স্ত্রী কাজল বালিগোড়ি (১) পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ না-থাকলেও স্বামীকে পালানোতে তিনি মদত দিয়েছেন বলে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তিন জনকেই ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বিজেপি-র অভিযোগ, নিহত সৌরভের দেহ আরামবাগ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার ও তাঁর স্বামী সাকির আলি জোর করে বুধবার রাতে দাহ করাতে বাধ্য করেন। পাত্র পরিবার চেয়েছিলেন, বিহার থেকে আত্মীয়স্বজন না-আসা পর্যন্ত দেহটি রাখতে। কিন্তু চাপাচাপিতেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন সৌরভের বাবা। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই চাপাচাপির প্রতিবাদ করায় গণেশ চক্রবর্তী নামে এক বিজেপি নেতাকে তৃণমূলের ছেলেরা মারধর করে বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার বিজেপি তারকেশ্বর থানায় বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নিয়েছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দাহ নিয়ে জোর করা বা মারধরের অভিযোগ অপরূপা এবং সাকির উড়িয়ে দিয়েছেন। সাকিরের দাবি, ‘‘আমরা কোনও দলীয় রং না বিচার করেই পুলিশকে দলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে গ্রেফতার করতে বলি। বিজেপি অবান্তর অভিযোগ করছে।’’ এ নিয়ে অবশ্য পাত্র পরিবারের কেউ মুখ খুলতে চাননি।