নিজস্ব চিত্র।
বঙ্গ জননী সম্মেলনের সূচনা হল হাওড়ায়। শনিবার দাসনগরের আলামোহন দাস ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের মহিলা সংগঠন বঙ্গ জননীর শাখার প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সূচনা করেন বঙ্গ জননী সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী এবং সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মী রতন শুক্ল। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও অনুষ্ঠানে আসেননি রাজ্যের দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরূপ রায়।
বঙ্গ জননী সম্মেলনে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা প্রায় ৫ হাজার মহিলা অংশ নিয়েছিলেন সম্মেলনে। কাকলী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘‘গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে এই সংগঠন তৈরি হয়। ১০ বছরে রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য অনেক কাজ করেছে। যার সুফল আজ আমরা পাচ্ছি। সেই কাজের প্রচার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগঠনের সদস্যদের করতে হবে।’’ তাঁর বক্তব্যের বেশির ভাগ জুড়েই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকলি বলেন, ‘‘রাজ্যের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর অবদান প্রচুর। মহিলাদের ক্ষমতায়নে ও উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কাজ করেছেন। তাই মহিলারা যেমন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন তেমন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।’’
বঙ্গ জননীর স্লোগান কী হবে তা-ও এই সম্মেলন থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়— ‘এই বিজেপি চাই না’। কাকলির কথায়, ‘‘মানুষকে বোঝাতে হবে, বিজেপি এলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি হবে। মহিলাদের উপরে অত্যাচার বাড়বে। এই রাজ্যে আগুন জ্বালাতে চাইছে বিজেপি।’’ তাঁর দাবি, গত দু’টি বিধানসভার মতো এ বারও তৃণমূলকেই রাজ্যের মহিলারা ভোট দেবেন।
যদিও এই সম্মেলন নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যদি এত উন্নয়ন ও মহিলাদের জন্য কাজ করে থাকেন তা হলে বঙ্গ জননী করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাবার কী প্রয়োজন? ভোটের আগে এসব করে লাভ নেই। তৃণমূলের শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি-র উপর এখন ভরসা করছে সারা দেশের মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা।’’