ভিভিপ্যাট ও কড়া নিরাপত্তায় আজ ভোট উলুবেড়িয়ায়

নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাগনান, আমতা, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর প্রভৃতি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে রবিবার থেকেই চলছে তল্লাশি। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথ ভাবে প্রতিটি গাড়ি এবং মোটরবাইক পরীক্ষা করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩১
Share:

বুথের পথে মহিলা ভোটকর্মীরা। রবিবার। ছবি: সুব্রত জানা

ইভিএম যেমন ছিল, তেমনই থাকছে। তবে, এ বার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ইভিএমের সঙ্গে জুড়েছে ভিভিপ্যাট।

Advertisement

আজ, সোমবার ভোট দেওয়ার পরে ভোটাররা ভিভিপ্যাটে একটি স্লিপ দেখতে পাবেন। যে স্লিপে উল্লেখ থাকবে, তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিলেন, সেই প্রার্থীর ঝুলিতেই তাঁর ভোটটি পড়ল কি না। তবে, বিরোধীদের অভিযোগ, স্লিপ দেখতে গেলে তো বুথ অবধি পৌঁছতে হবে। তবে সেটা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কিত তাঁদের ভোটাররা। যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক তৃণমূল এবং প্রশাসন।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাগনান, আমতা, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর প্রভৃতি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে রবিবার থেকেই চলছে তল্লাশি। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথ ভাবে প্রতিটি গাড়ি এবং মোটরবাইক পরীক্ষা করছে। মোট ১৮১৮টি বুথের মধ্যে ৬২৬টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ এবং তার মধ্যে ১৮৮টি বুথকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই সব বুথে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে কমিশন সূত্রের খবর। থাকছে দু’টি সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত বুথ। ভোটকর্মীর সংখ্যা ৯০৯০ জন। ভোটগ্রহণ ঠিকঠাক চলছে কিনা তা দেখার জন্য ১৩৩৫ জন মাইক্রো-অবজার্ভার মোতায়েন করা হবে।

Advertisement

উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক (সাধারণ) এসএল যাদব বলেন, ‘‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

সাংসদ সুলতান আহমেদের মৃত্যুতে এই আসনটি খালি হওয়ায় উপ-নির্বাচন হচ্ছে। প্রধান চার প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন তৃণমূলের সাজদা আহমেদ, সিপিএমের সাবিরুদ্দিন মোল্লা, বিজেপির অনুপম মল্লিক এবং কংগ্রেসের মুদাস্সর হোসেন ওয়ারসি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সুলতান ২ লক্ষ ১ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। হারিয়েছিলেন তৎকালীন সিপিএম প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লাকে। সুলতান পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ভোট। সাবিরুদ্দিন ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার ভোট। ওই নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ভোট। কংগ্রেস ৮৭ হাজার ভোট। তখন ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৮৯ জন। এ বার ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৯৬ জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement