প্রতীকী ছবি
বাড়িতে শোওয়ার ঘর থেকে এক বৃদ্ধ এবং তাঁর স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মিলল। রবিবার সকালে বাঁশবেড়িয়া পেপার মিল এলাকার বাসিন্দা, নিহত মুসলিম মিঁয়া ডাফালি (৭০) এবং তাঁর স্ত্রী রহিমা বিবি (৫৪)-র দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, নিহতদের গলায় এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছিল। মুসলিমের বড় ছেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ‘‘মৃতদেহ এবং ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে মনে হচ্ছে দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক কোনও বিবাদে এই ঘটনা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহতদের তিন নিকটাত্মীয়কে আটক করা হয়েছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুসলিম ঝাড়ফুঁক করতেন। তাবিজ, কবচ বেচতেন। তাঁর তিনটি বিয়ে। তিন পক্ষ মিলিয়ে ১১ জন মেয়ে এবং চার ছেলে আছে। রহিমা তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। দুই ছেলে এবং তাঁদের স্ত্রী-সন্তানরা মুসলিম-রহিমার সঙ্গে থাকতেন। এ দিন সকাল ছ’টা নাগাদ স্থানীয় এক বাসিন্দা ফোনে পুলিশকে জানান, একতলার একটি ঘরে মেঝের উপরে দম্পতির রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের ডিএসপি (ক্রাইম) শুভাশিস চৌধুরী, মগরার সার্কেল ইনস্পেক্টর (বি) অরূপ ভৌমিক, মগরার ওসি প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় সরেজমিন তদন্তে আসেন।