আবাসনের সবাইকে আটকে রেখে লুঠ হাওড়ার ফ্ল্যাটে

আবাসনের সব অ্যাপার্টমেন্টের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে ফাঁকা ফ্ল্যাটে লুঠতরাজ চালাল চোর। সকালে ঘুম ভাঙার পর দরজাই খুলতে পারলেন না হাওড়ার সদর বক্সি লেনের ওই আবাসনের বাসিন্দারা। চুরির অভিনব পদ্ধতি দেখে বিষ্মিত হাওড়া পুলিশের গোয়েন্দারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ১২:২২
Share:

গয়নার খালি বাক্স হাতে যাদব হালদারের পুত্রবধূ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

আবাসনের সব অ্যাপার্টমেন্টের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে ফাঁকা ফ্ল্যাটে লুঠতরাজ চালাল চোর। সকালে ঘুম ভাঙার পর দরজাই খুলতে পারলেন না হাওড়ার সদর বক্সি লেনের ওই আবাসনের বাসিন্দারা। চুরির অভিনব পদ্ধতি দেখে বিষ্মিত হাওড়া পুলিশের গোয়েন্দারাও।

Advertisement

একটি তিনতলা আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে। মোট ১১টি অ্যাপার্টমেন্ট আবাসনটিতে। দোতলার একটি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা যাদব হালদার সস্ত্রীক পুরি বেড়াতে গিয়েছেন। তাঁর ফ্ল্যাট তালাবন্ধ ছিল। শুক্রবার রাতে সেই ফ্ল্যাটেই চুরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০ গ্রাম সোনার গয়না এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। দুষ্কৃতীরা ফাঁকা ফ্ল্যাটটিতে ঢোকার আগে আবাসনের অন্য সব অ্যাপার্টমেন্টের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেয়। শুধুমাত্র একটি অ্যাপার্টমেন্টকে চেষ্টা করেও তারা বাইরে থেকে বন্ধ করতে পারেনি। রাতে চুরির সময় অবশ্য কেউই কিছু টের পাননি বলে আবাসনের বাসিন্দাদের দাবি। সকালে ঘুম ভাঙার পর সকলেই বুঝতে পারেন, দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। যাঁর দরজা দুষ্কৃতীরা বন্ধ করতে পারেনি, তিনি বাইরে বেরিয়ে অন্যদের দরজা খুলে দেন। তার পরই দোতলার বন্ধ অ্যাপার্টমেন্টে চুরি হয়েছে বলে ধরা পড়ে।

যাঁর ঘরে চুরি হয়েছে, সেই যাদববাবুর ছেলে উত্তম হালদার সস্ত্রীক সালকিয়ায় থাকেন। খবর পেয়েই সদর বক্সি লেনের আবাসনে পৌঁছন তাঁরা। হাওড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। চুরি হচ্ছে বলে আঁচ পেলেও যাতে আবাসনের অন্য বাসিন্দারা বেরতে না পারেন, তার জন্যই বাইরে থেকে সব দরজা বন্ধ করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement