প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া-সহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজে হাওড়া পুরসভার যে স্বাস্থ্যকর্মীরা যুক্ত, তাঁদের বেতনের টাকা আর সরাসরি পুর কর্তৃপক্ষের হাতে আসবে না। স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)-র মাধ্যমে ওই টাকা আসবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অফিসে। জমা পড়বে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমিটিতে। এত দিন সুডার মাধ্যমে ওই টাকা হাওড়া পুরসভার হাতে সরাসরি আসত। কিন্তু একাধিক বার অভিযোগ উঠেছিল, টাকা আসতে অহেতুক দেরির কারণে ঠিক সময়ে বেতন পাচ্ছেন না পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার জেরে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে ঢিলেমি লক্ষ করা যাচ্ছে। সেই অভিযোগের সুরাহায় এবং পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কাজে গতি আনতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। হাওড়ার পুর কমিশনারের সঙ্গে এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বৈঠকও হয়েছে।
হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত বিশেষ টাস্ক ফোর্স, মশা মারার ওষুধ ছড়ানোর কর্মী এবং অনারারি হেলথ ওয়ার্কারদের (এইচএইচডব্লিউ) বেতন-সহ অন্যান্য খরচের টাকা এত দিন পুর কর্তৃপক্ষের হাতে সরাসরি আসত রাজ্য সরকারি সংস্থা সুডার মাধ্যমে। কিন্তু পুরসভার স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশের অভিযোগ, সুডা একই সঙ্গে একাধিক প্রকল্পে যুক্ত থাকায় এবং এই কাজে এক জন মাত্র অফিসার নিযুক্ত থাকায় টাকা পেতে দেরি হত। পুরসভা থেকে বার বার তাগাদা দেওয়ার পরে সেই টাকা মিলত। এর ফলে পুরকর্মীদের বেতন দেওয়া-সহ ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজেও অসুবিধার সৃষ্টি হত।
পুরসভার এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য সরকারের কাছে বার বার আবেদন করেছি, জেলা স্বাস্থ্য দফতরে টাকা পাঠালে তা সহজে পুরসভার কাছে পৌঁছবে। কারণ আগে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে নীতি নির্ধারণ করার পরেও টাকার অভাবে কাজ হয়নি। বহু বার সুডার দফতরে ছোটাছুটি করতে হয়েছে।’’
হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এক নির্দেশ দিয়ে জানায়, এখন থেকে সমস্ত টাকা আসবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ‘জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কমিটির’ অ্যাকাউন্টে। যার মধ্যে থাকবে পুর স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের টাকাও। পুরসভার থেকে হিসেবের কাগজপত্র পেলেই সেই টাকা তাদের দিয়ে দেওয়া হবে।
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘আগে সুডা থেকে টাকা আসত পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে। এখন আমাদের কাছে টাকা আসার পরে আমরা তা পুর স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন খাতে পাঠিয়ে দেব। ওই টাকায় স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতন-সহ অন্যান্য কাজ হবে।’’