প্রতীকী ছবি।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে গেল পঞ্চায়েতগুলিতে। প্রশাসন সূত্রে খবর, হুগলির ১৮টি ব্লকের ২০৭টি পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৯৯ টাকা। দিন সাতেক হল সেই টাকা পঞ্চায়েতগুলিতে পাঠানো হয়েছে। কাজের তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। এ বার বরাদ্দ অর্থ খরচের পরিসর বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগের মতো এই অর্থ নিজেদের মর্জি অনুযায়ী খরচ করতে পারবে না পঞ্চায়েত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শৌচাগার, মুখ ঢাকা নিকাশি নালা, নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ, গ্রামীণ এলাকায় ক্ষুদ্র বা ছোটখাটো সেচ ব্যবস্থাপনার মতো কাজে লাগাতে হবে। বৃষ্টির জল ধরে রাখা এবং জলের পুনর্ব্যবহার সম্পর্কিত কাজের জন্য কমপক্ষে ৫০ শতাংশ খরচ করতে হবে বলে নির্দেশ। বাকি ৫০ শতাংশ খরচ করতে হবে পরিকাঠামো নির্মাণ, রাস্তাঘাট এবং শ্মশানের চুল্লি নির্মাণের মতো প্রকল্পে।
কমিশনের অর্থ খরচে স্বচ্ছতা আনতে আগেই ‘পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (পিএফএমএস) বাধ্যতামূলক হয়েছিল। এ বার পঞ্চায়েতের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় হিসাব নতুন সফটওয়্যার ‘পিআরআইএস’- তে নথিভুক্ত করতে হবে। লক্ষ্য, উন্নত আর্থিক পরিচালনা, কাজের গতিবৃদ্ধি এবং অর্থ খরচে নজরদারি বাড়ানো।
বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ পঞ্চায়েতগুলি নিজেদের মতো খরচ করত। ফলে, নানা অনিয়মেরও অভিযোগও উঠত। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ কোন কোন কাজে খরচ করা হবে, তা ঠিক করে দেওয়া ছিল না। তবে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কিছু কাজ করার কথা বলা হয়েছিল। যেমন নলবাহিত পানীয় জলের প্রকল্প, পুরনো কূপ মেরামত করা, নতুন কূপের ব্যবস্থা করা, নলকূপের চাতাল তৈরির মতো বেশ কিছু কাজে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেক পঞ্চায়েতেই সেই পরামর্শ না-মেনে রাস্তা সংস্কার বা কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের মতো কাজে টাকা খরচ করা হয়েছিল।