হুগলিতে কিছুটা রেহাই
Arambagh

রাস্তায় বেশি যাত্রী, বাড়ল বাসের সংখ্যা

বেশি থাকায় বাসগুলিতে অবশ্য ভিড় এড়ানো যায়নি। আর সরকাির বাস তো ছিলই।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও পীযূষ নন্দী

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

স্বস্তি: সোমবার আরামবাগে দেখা গেল এমন চিত্র। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ

ছবিটা মিলল না হুগলিতে!

Advertisement

রাস্তায় বাস কম থাকবে, ধরেই নিয়েছিলেন জেলার অফিসযাত্রীরা। কিন্তু সোমবার পথে বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ল। তবে, কলকাতামুখী অফিসযাত্রীদের সংখ্যা তুলনায়

বেশি থাকায় বাসগুলিতে অবশ্য ভিড় এড়ানো যায়নি। আর সরকাির বাস তো ছিলই।

Advertisement

বাস-মালিকেরা দাবি করেছেন, চুঁচুড়া ছাড়াও চন্দননগর, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া থেকে কলকাতামুখী বেসরকারি বাস ছুটেছে। চুঁচুড়া-মেমারি ৪ নম্বর রুটে বেশি বাস চলছে। আরামবাগ-তারকেশ্বর ছুঁয়ে দূরপাল্লা ও লোকাল বাস এতদিন ৪০টি চলত। এ দিন বেড়ে ১০৮টি চলেছে। সোমবার মোট ২৫টি বাসের মধ্যে ২০টি বাস চলাচল করে আরামবাগ-বর্ধমান

রুটে। আরামবাগ-খানাকুল বন্দর রুটে ৮টি বাস ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ১৬/২০ রুটে এ দিন ১৭টি বাস চলেছে। এতদিন এই সব রুটে অনেক কম বাস চলছিল।

এখনও ভাড়া বাড়েনি। ডিজেলের দামও কমেনি। তা হলে কেন পাল্টে গেল ছবিটা?

জেলার বাস-মালিকেরা জানিয়েছেন, ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে সরকার আলোচনার দরজা খুলে রেখেছে। করোনা আবহে রাস্তায় বাস না-নামালে পারমিট বাতিল হতে যেতে পারে।

তাই তাঁরা ঝুঁকি নেননি। তবে, যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে লোকসান আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে বলে তাঁরা মানছেন।

জেলা দূরপাল্লা (ইন্টার রিজিয়ন) বাস-মালিক সংগঠনের সভাপতি মির্জা গোলাম মোস্তাফা বলেন, “ভাড়াবৃদ্ধির বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। যাত্রী বাড়ছে কলকাতাগামী বাসে। লোকসানের অঙ্ক সাড়ে ৩ হাজার থেকে কমে দেড় হাজারে নেমেছে।”

জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের (আরটিও) এক কর্তা বলেন, ‘‘ট্রেন চলছে না। কলকাতার সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে গিয়েছে। এই বিষয়টি তো বাস সংগঠনগুলির বোঝা উচিত। মানুষ যাবেন কোথায়? এরপরেও মানুষ কর্মস্থলে পৌঁছতে না-পারলে চাকরি নিয়ে টানাটানি হবে। সকলেরই এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব আছে।’’

চুঁচুড়ার আখন বাজারের বাসিন্দা সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার ডালহৌসিতে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তিনি এ দিন খাদিনা মোড়ে ২ নম্বর বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে হোক অফিস যেতেই হবে। এখান থেকে দক্ষিণেশ্বর যাব। তারপর ওখান থেকে ডালহৌসি। চাকরি রাখতে ব্রেক-জার্নি ভরসা।’’

রাস্তায় বাস থাকায় সুস্মিতার মতো ভরসা পেয়েছেন এই জেলার অনেক যাত্রীই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement