বিধি মেনে: হাসপাতাল থেকে ফিরছেন নবদম্পতি। —নিজস্ব িচত্র
ছাড়পত্র দিলেন চিকিৎসক। তার পরেই ঘরে ঢুকলেন নবদম্পতি।
লকডাউন বড় বালাই! তাই বিয়েতেও মানতে হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সোমবার বাঁশবেড়িয়ার খামারপাড়ার রায়গলির বাসিন্দা অলোক মাঝির সঙ্গে পান্ডুয়ার রবীন্দ্রপল্লির যুবতী দীপালি ঢালির বিয়েতেও ছিল লকডাউনের কড়া অনুশাসন! পুলিশের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান হল। সেখানে দুই বাড়ি মিলিয়ে মেরেকেটে জনা পঞ্চাশ লোক ছিলেন। সবাই যেন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন, সে দিকে নজর ছিল কনেবাড়ির লোকজনের। সকলের মুখেই ছিল মাস্ক। পুরোহিত মন্ত্রোচ্চারণ করলেন মাস্ক পরেই। মঙ্গলবার ছিল নববধূকে নিয়ে অলোকের বাড়ি ফেরার পালা। তবে, কনে বিদায়ের পর্ব সমাধার পরে নবদম্পতি গেলেন পান্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান তাঁরা। তার পরে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালেও একপ্রস্থ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পালা সারা হল। চিকিৎসক জানালেন, দু’জনের মধ্যেই অসুস্থতার কোনও লক্ষণ নেই। এর পরেই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ঢুকলেন ওই যুবক। তখনও দু’জনের মুখে শোভা পাচ্ছে মুখাবরণ।
পাত্রের বন্ধু রাজকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, আজ, বুধবার অলোকের বাড়িতে হবে বৌভাতের অনষ্ঠান। পুলিশের অনুমতিসাপেক্ষে মোট ২০ জন অনুষ্ঠানে থাকবেন। পেশায় ইমারতি ব্যবসায়ী অলোক ঠিক করেছেন, ৫০ জন অসহায় মানুষের বাড়িতেও রান্না করা খাবার পৌঁছে দেবেন।