মনোজ সিংহ।
আমপানে ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় নাম ছিল প্রধানের স্ত্রী ও এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের। ঘটনায় জড়িত গরলগাছার প্রধান মনোজ সিংহকে পদত্যাগের নির্দেশ দিল হুগলি তৃণমূল নেতৃত্ব।
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই প্রধানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গেও কথা বলি। তার পরামর্শ অনুযায়ী জেলা সভাপতিকে বলি ওই প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে।’’ দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘আমি সাংসদের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। আমরা দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষার প্রশ্নে কোনও আপস করব না।’’
সম্প্রতি আমপানে হুগলির চারটি মহকুমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশাসনের তরফে সেই নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। তালিকা তৈরি হয় ক্ষতিগ্রস্তদের। কিন্তু সেই তালিকা বেরনোর পর দেখা যায়, বাড়ির কোনও ক্ষতি না হলেও নাম রয়েছে চণ্ডীতলা-২ ব্লকের প্রধানের স্ত্রী ও তাঁর এক ঘনিষ্ঠের, পঞ্চায়েতের মহিলা সদস্যরও। বিষয়টি নিয়ে শাসকদলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব। খবরটা জানাজানি হওয়ার পরই গরলগাছা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। ব্লক অফিসে স্মারকলিপিও জমা দেন। বিপাকে পড়ে প্রধান মনোজ সিংহ জানান, তাঁর স্ত্রী তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন। ব্লক প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমপানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য টাকা এখনও আসেনি। প্রধানের স্ত্রীর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন গৃহীত হয়েছে।’’
এই বিষয়ে হুগলি জেলা সিপিএমের সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘যে টাকা এখনও ব্লক আধিকারিকদের হাতে আসেনি, তা পেতে শাসকদলের কেষ্টবিষ্টুরা মরিয়া। ওই টাকা ব্লকে এলে ওঁরা কী করবেন? ঝড়ে সত্যিই ক্ষতিগ্রস্তরা ছিঁটেফোঁটা পাবেন তো?’’
দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত প্রধান মনোজ সিংহকে ফোন করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। জবাব দেননি মেসেজেরও।