guptipara engineering college

লিখিত আশ্বাস অধ্যক্ষের, ঘেরাও উঠল কলেজে

গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছেই টেংরিপাড়ায় ওই কলেজে প্রায় দু’শো ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই কলেজ লাগোয়া হস্টেলে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে কলেজে ডামাডোল চলছে। শিক্ষকেরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। সেই কারণে তাঁরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুপ্তিপাড়া শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অধ্যক্ষের লিখিত আশ্বাসে আটচল্লিশ ঘণ্টা পরে, শুক্রবার দুপুরে ঘেরাও উঠল গুপ্তিপাড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা বিভাগ) কলেজে। ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা মেটাতে আগামী সোমবার বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছেই টেংরিপাড়ায় ওই কলেজে প্রায় দু’শো ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের অনেকেই কলেজ লাগোয়া হস্টেলে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে কলেজে ডামাডোল চলছে। শিক্ষকেরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। সেই কারণে তাঁরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না। তার ফল ভুগতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, পড়ুয়াদের হস্টেলটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখান থেকে দু’কিলোমিটার দূরে বাঁধাগাছিতে অসম লিঙ্ক রোডের কাছে ওই সংস্থার আরও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (ডিগ্রি বিভাগ) এবং হস্টেল রয়েছে। ডিপ্লোমা বিভাগের পড়ুয়াদের ওই হস্টেলে গিয়ে থাকতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে ডিপ্লোমা বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। নিয়মিত ক্লাস চালুর দাবির পাশাপাশি তাঁরা জানিয়ে দেন, দূরের হস্টেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত মানবেন না। এই দাবিতে গত বুধবার থেকে পড়ুয়ারা অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাঁতরা এবং কর্তৃপক্ষের অন্য আধিকারিকদের ঘেরাও করেন।

Advertisement

কলেজ সূত্রের খবর, শুক্রবার অধ্যক্ষ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের লিখিত ভাবে জানান, আগামী সোমবার তাঁদের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। দু’টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চার জন আধিকারিক এ জন্য কলেজে আসবেন। ওই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরে ঘেরাও ওঠে। দুপুরে অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘আশা করছি, মঙ্গলবার থেকেই নিয়মিত ক্লাস হবে। পড়ুয়ারা যাতে এই হস্টেলে থাকতে পারেন, সে ব্যাপারেও সোমবার আলোচনা হবে। ছাত্রছাত্রীদের কোনও সমস্যা থাকবে না বলে আমরা আশাবাদী।’’

এক ছাত্রের কথায়, ‘‘নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। দু’কিলোমিটার দূরের হস্টেলে থাকতে বলা হচ্ছে। সেখান থেকে কলেজে যাতায়াত করতে হবে অটো বা টোটোতে। তাতে ৩০ টাকা খরচ। অনেক সময়ও নষ্ট হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে মানব না।’’ আর এক ছাত্রের বক্তব্য, ‘‘ভাল ভাবে পড়াশোনা এবং কলেজ লাগোয়া জায়গায় থাকার সুবিধার জন্যই টাকা দিয়ে এখানে পড়তে এসেছি। কিন্তু উল্টোটা হচ্ছে। এটা মানা যায়! আশা করব, বৈঠকে ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement