শ্যামাপদ পাত্র।
ব্যাক্তিগত মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সেরা মাছ চাষি হিসেবে রাজ্যের তরফে ‘মাটি সম্মান’ দেওয়া হল আরামবাগের হাটবসন্তপুর গ্রামের শ্যামাপদ পাত্রকে। ৯ জানুয়ারি বর্ধমানের মাটি উৎসবে তাঁর হাতে পুরস্কার হিসেবে ২০ হাজার টাকার চেক, শংসাপত্র, শাল তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে শ্যামাপদবাবুকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের তরফেও পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
শ্যামাপদবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভাল করে মাছ চাষ করুন।’ কিন্তু মাছ চাষের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে। সে কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলার সাহস পাইনি।’’ কি অসুবিধা? তিনি বলেন, ‘‘চাষিরাও সমস্ত পুকুর ও জলাশয় কাজে লাগিয়ে মাছ চাষ করে উৎপাদন বাড়াতে চান। কিন্তু ঋণ দিতে ব্যাঙ্কগুলির অনীহার কারণে মাছ চাষের এলাকা বাড়ানো যায়নি। এই সমস্যা মেটাতে সরকার এগিয়ে এলে আরও অনেকেই মাছ চাষে এগিয়ে আসবেন।’’
হুগলি জেলা মৎস্য দফতর সূত্রে জানা যায়, শ্যামাপদ প্রায় ৪০০ বিঘায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মাছ চাষ করে রাজ্যে ‘মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
জেলা মৎস্য দফতরের অধিকর্তা পার্থসারথি কুণ্ডু বলেন, ‘‘শ্যামাপদবাবু পাত্র বিঘা পিছু ১২ থেকে সাড়ে ১৩ কিলোগ্রাম পর্যন্ত মাছ উৎপাদন করে হুগলি-সহ বিভিন্ন জেলায় মাছের চাহিদা পূরণ করছেন। অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে।’’