পরিদর্শনে: আক্রান্তর বাড়িতে যাচ্ছেন সেভ ডেমোক্রেসির প্রতিনিধিরা।
বাড়ির কাছে মদ-গাঁজার আসর বসানোর প্রতিবাদ করায় দিন চারেক আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন পান্ডুয়ার বৈঁচির গোয়ালাপুকুর গ্রামের তপন রায়। হামলাকারীরা রেয়াত করেনি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অভিযুক্ত পাঁচ জনের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ দিন আক্রান্ত আক্রান্ত পরিবারটিকে অভয় দিতে ‘সেভ ডেমোক্রেসি’র ছ’জনের একটি প্রতিনিধি দল পান্ডুয়ায় যায়। তপনবাবুর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
‘সেভ ডেমোক্রেসি’র রাজ্য সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। পান্ডুয়া থানায় তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা অভিযুক্তদের ধরার আশ্বাস দিয়েছেন।’’
তপনবাবু লোকাল ট্রেনে হকারি করেন। গত রবিরার রাত আটটা নাগাদ ফেরার পথে তিনি দেখেন, বাড়ির কাছে পাড়ার ছেলেরা মদ-গাঁজার আসর বসিয়েছে। তিনি প্রতিবাদ করতেই মদ্যপেরা রড-লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে তপনবাবুর মাথা ফাটে। তপনবাবুর মেয়ে প্রমিতা ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে কিশোর ছুটে আসে বাবাকে বাঁচাতে। তপনবাবুর স্ত্রী অসীমা দেবীকেও মারধর করা হয়। পরিবারটিকে হামলাকারীরা হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
কথা বলছেন আক্রান্তর সঙ্গে।
তপনবাবুর এখনও চিকিৎসা চলছে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘মাথায় চারটি সেলাই হয়েছে। যন্ত্রণা রয়েছে।’’ ওই গ্রামে বিদ্যুৎ থাকলেও তপনবাবুর টিনের ছাউনির বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। স্থানীয় বাসিন্দা, কলেজ পড়ুয়া অলোক রায় বলেন, ‘‘তপনবাবু এবং আশপাশের কিছু বাড়িতে এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় জখম তপনবাবু বাড়িতে কষ্ট পাচ্ছেন। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতকে দেখতে আমরা
অনুরোধ করছি।’’
নিজস্ব চিত্র