যানজটে রোজই দুর্ভোগ নৈটি রোডে

স্টেশনের পশ্চিম দিকে নবগ্রাম এবং কানাইপুর পঞ্চায়েত। স্কুল-কলেজ, অফিস বা অন্যান্য প্রয়োজনে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন ওই স্টেশন লাগোয়া নৈটি রোড ধরে যাতায়াত করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:৪২
Share:

জটিল: এমন ভোগান্তি নিত্যদিনের। নিজস্ব চিত্র

গোটা স্টেশন চত্বরটাই থমকে যায় রোজ।

Advertisement

মাঝরাস্তায় কখনও দাঁড়িয়ে থাকে ট্রাক, কখনও বাস, কখনও অন্য বড় গাড়ি। তার চারপাশে এলোমেলো ভাবে আটকে থাকে অটো, টোটো, রিকশা, সাইকেল— সব কিছুই। পথচলতি মানুষও সেই জাল কেটে বেরোতে পারেন না কিছুতেই। গাড়ির হর্ন বেজে চলে একটানা। আওয়াজে কান পাতা দায়। কোন্নগর স্টেশনের পশ্চিম দিকে নৈটি রোডে এটাই রোজকার চিত্র।

স্টেশনের পশ্চিম দিকে নবগ্রাম এবং কানাইপুর পঞ্চায়েত। স্কুল-কলেজ, অফিস বা অন্যান্য প্রয়োজনে অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন ওই স্টেশন লাগোয়া নৈটি রোড ধরে যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিল্লি রোডের সঙ্গে জিটি রোডের সংযোগেরও মাধ্যম। স্টেশনের পাশ থেকেই পার ডানকুনির দিকে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রুটের অটো-টোটো ছাড়ে। চণ্ডীতলা যাওয়ার জন্য যাত্রিবাহী ভ্যানও দাঁড়ায়।

Advertisement

স্থান‌ীয়দের অভিযোগ, স্টেশন সংলগ্ন রাস্তাটি খুব সঙ্কীর্ণ হওয়ায় নিত্যদিন যানজট হয়। গাড়ি চলাচলে কোনও নিয়ন্ত্রণ না-থাকায় বিশেষ করে সকালে অফিসের সময় আর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। রাস্তার মোড়ে পুলিশ বা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পক্ষেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এই সঙ্কীর্ণ রাস্তার পাশেই বসে আনাজ-বাজার। ফলে, রাস্তা দিয়ে হাঁটারও উপায় থাকে না। টোটো লাগামছাড়া হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

কানাইপুরের বাসিন্দা প্রিয়া দাস উত্তরপাড়ায় একটি সংস্থায় কাজ করেন। স্কুটি চেপে এই রাস্তা ধরেই কাজে যান। তাঁর কথায়, ‘‘স্টেশন চত্বর পেরোনো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। দিন-রাতের যে কোনও সময়েই একই পরিস্থিতি। বড় গাড়ি ঢুকলে তো কথাই নেই। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’’ নিত্যযাত্রীদের অনেকেরই বক্তব্য, গাড়ি, বিশেষত টোটো দাঁড়ানোর জন্য বিকল্প জায়গা করা গেলে কিছুটা সুরাহা মিলতে পারে। অরুণ মাজি নামে এক যুবকের কথায়, ‘‘সুষ্ঠু পরিকল্পনা না-করলে সমস্যা তো বাড়তেই থাকবে।’’

শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আচ্ছালাল যাদবও মানছেন, ওই জায়গায় যানজট একটা বড় সমস্যা। তাঁর আশ্বাস, ‘‘পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের বক্তব্য, যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন্নগর স্টেশনের পশ্চিম দিকে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সুরাহা মিলছে না। বিশেষত টোটো দাঁড়ানোর জয়গা ঠিক করা, রাস্তার ধারের অস্থায়ী দোকান সরানো এবং যান‌ নিয়ন্ত্রণ হলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে।

এখন দেখার, সে সব কবে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement