বেহাল রাস্তা মেরামতের দাবিতে অবরোধ পুরশুড়ায়

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু হয়েছিল থেকে সাঁওতা মোড় সংলগ্ন আরামবাগ-তারকেশ্বর রোডে। সামনে ছিল স্কুল পড়ুয়ারা। ছিলেন শিক্ষক-সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। পুলিশ এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরশুড়া শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০৮:৩০
Share:

যাত্রা-যন্ত্রণা: এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছেন বিডিও (নীল জামা)। নিজস্ব চিত্র

গ্রামের পথের কেমন হাল— ৩ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে দেখতে হল বিডিওকে। মোরাম রাস্তার খানাখন্দ খতিয়ে দেখতে বিডিও হাঁটলেন, আর তারপরেই উঠল অবরোধ, চলল বাস।

Advertisement

পুরশুড়ার সাঁওতা থেকে স্থানীয় ভুঁয়েরা পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু হয়েছিল থেকে সাঁওতা মোড় সংলগ্ন আরামবাগ-তারকেশ্বর রোডে। সামনে ছিল স্কুল পড়ুয়ারা। ছিলেন শিক্ষক-সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। পুলিশ এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটে।

১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন পুরশুড়া বিডিও অনির্বাণ রায়। স্কুল পড়ুয়ারা তাঁকে জানায়, ‘‘স্কুল যাওয়ার সময় সাইকেল নিয়ে রোজ পড়ে যাই। তার উপর এখন বৃষ্টি। একবার হেঁটে দেখুন না স্যর কেমন লাগে।’’

Advertisement

অনির্বাণ রায় এ দিন বলেন, ‘‘ওই ছেলেমেয়েগুলোও তো রাস্তার দাবিতে সাঁওতা থেকে ভুঁয়েরা পর্যন্ত হেঁটেই এসেছিল। তা ছাড়া ওরা যখন বলল ওদের অসুবিধা হয়। আমি যেন একবার হেঁটে দেখে আসি, তখন আর না করতে পারলাম না।’’ গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে তিনি হাঁটতেই উঠে যায় অবরোধ।

বিডিও বলেছেন, “রাস্তাটি জেলা পরিষদের। বহুদিন ধরেই খারাপ। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে রাস্তা সংস্কারের অনুমোদন হয়েছে বছপ খানেক আগে। এখনও কেন হয়নি বা কী করা যায়, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।’’

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে ওই রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়ে আসছেন বাসিন্দারা। ভুঁয়েরা, হাটি, সাঁওতা, ভেউটিয়া-সহ আটটি গ্রামের মানুষ ওই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। পুরশুড়া বিডিও অফিস, হাসপাতাল, পোস্ট আফিস, ব্যাঙ্ক-সহ মূল রাস্তা আরামবাগ-তারকেশ্বর রোডে উঠতে গেলে ওই একটি রাস্তাই ভরসা। সাড়ে ৩ কিলোমিটার ওই রাস্তার মধ্যেই রয়েছে দু’টি প্রাথমিক স্কুল, ভুঁয়েরা হাইস্কুল, ব্যাঙ্ক।

বেশির ভাগ মানুষই সাইকেলে বা পায়ে হেঁটে যান। একটিই মাত্র ট্রেকার চলে ভুঁয়েরা থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত। ভুয়েঁরা এসকে হাইস্কুলের টিচার-ইন-চার্জ ভাস্করকুমার ভৌমিকের আভিযোগ, “পড়ুয়ারা সাইকেল নিয়ে আসে। প্রতিদিন প্রায় ২-৩জন স্কুলে আসে জলকাদা মেখে। তাদের ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠাতে হয়।’’ ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি কল্যাণব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিডিওর নির্দেশ মতো আমরা গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন জমা দিয়েছি। নিজেরাও জেলা পরিষদ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement