ছুটি দিতে দেরি, হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুসিয়া বেগম নামে উলুবেড়িয়ার বহিরা আলিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়াকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৯
Share:

ছত্রাকার: ঘটনার পরে উল্টে পড়ে রয়েছে টেবিল।

রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ছুটি দিতে দেরি করছে, এই অভিযোগে সেখানে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রোগীর আত্মীয়ের অবশ্য ভাঙচুরের অভিযোগ মানেননি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুসিয়া বেগম নামে উলুবেড়িয়ার বহিরা আলিপুকুর গ্রামের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়াকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তাঁর বাড়ির লোকেরা জানান, সেখানে চিকিৎসার খরচ সামলাতে পারবেন না বুঝে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধার জন্য তাঁরা রুসিয়া বেগমকে শনিবার ফুলেশ্বরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু এখানে ওই প্রৌঢ়ার চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। বুধবার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেন, তাঁরা ‘বন্ড’ (ঝুঁকির কথা জেনে নিজেরাই নিয়ে যাওয়া) দিয়ে তাঁকে ছুটি করিয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। কিন্তু হাসপাতালের তরফে ছুটি দিতে গড়িমসি করা হচ্ছিল।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ দিন বিকেলে রোগীর আত্মীয়েরা এক দল লোক নিয়ে হাসপাতালে চড়াও হন। কেন ছুটি দিতে দেরি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হয়। রিসেপশনের চেয়ার-টেবিল উল্টে দেওয়া হয়। কাগজপত্র ফেলে দেওয়া হয়। দরজার কাচ ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। পরে রুসিয়াকে ছুটি করিয়ে নিয়ে যান আত্মীয়েরা।

Advertisement

হাসপাতালের তরফে চিকিৎসক শুভাশিস মিত্র বলেন, ‘‘চিকিৎসা নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। কিছু অসাধু স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী আমাদের হাসপাতালকে বদনাম করতে সামান্য অজুহাতে রোগীর বাড়ির লোককে ভুল বুঝিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’

রুসিয়া বেগমের ছেলে জাভেদ মল্লিকের অবশ্য দাবি, ‘‘সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেই নার্সিংহোম থেকে ছাড়িয়ে মাকে ওই ওখানে ভর্তি করি। কিন্তু চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছিল না। তাঁই বন্ড দিয়ে মাকে নিয়ে যাব বলি। কিন্তু ছুটি দিতে গড়িমসি করা হচ্ছিল। সেই জন্য হাসপাতালের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। কেউ ভাঙচুর করেননি। পুলিশ আসার পরে ওরা মাকে ছুটি দেয়।’’

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement