তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন রত্না দে নাগ। —ফাইল চিত্র
তারকেশ্বর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পরবর্তী চেয়ারপার্সন হচ্ছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ রত্না দে নাগ। সোমবার কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নিজেই এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘তারকেশ্বর উন্নয়ন সংস্থায় আরও বেশি করে সময় দিতে পারবেন রত্নাদি। আর দফতরের মন্ত্রী হিসেবে আমি তো সব সময়েই সাহায্য করব। সেখানকার সব রকম উন্নয়নমূলক কাজকে অগ্রাধিকার দেবে নগরোন্নয়ন দফতর।’’ তাঁর নিদের্শেই এ দিন বিকেলে বিজ্ঞপ্তি দেয় নগরোন্নয়ন দফতর। সেখানে নবগঠিত তারকেশ্বর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ১২ সদস্যের নাম ঘোষিত হয়েছে। চেয়ারপার্সন রত্না দে নাগ, ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন বিধায়ক বেচারাম মান্না। এ ছাড়াও আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, হুগলির জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক, তারকেশ্বরের পুর চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সভাপতি এবং বিডিও ওই কমিটিতে রয়েছেন।
গত লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভায় পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা ১০ বছরের সাংসদ রত্নাদেবী। ওই আসনে জয়ী হন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পরেই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রত্নাদেবী কাজের মানুষ। তাঁকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেওয়া হবে। তার পর থেকেই রত্নাদেবীকে কোন পদে বসানো হবে, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়। এ দিন নতুন দায়িত্বের কথা তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারকেশ্বর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দায়িত্ব যখন ফিরহাদকে দেওয়া হয়, তখন তিনি কলকাতার মেয়র পদে ছিলেন না। কলকাতার মেয়র পদে বসার পরে তাঁর কাজের পরিধি অনেক বেড়ে গিয়েছে। এখন তিনি অন্য কাজে ততটা সময় দিতে পারছেন না। সে কারণেই তারকেশ্বরের উন্নয়নের কাজে নজরদারির জন্য রত্নাদেবীকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের খবর। পাশাপাশি, তারকেশ্বরের মন্দিরের উন্নয়ন নিয়েও রত্নাদেবী যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন।
এ দিকে, হুগলিতে রত্নাদেবী হেরে যাওয়ায় মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ছে শাসকদলের কিছু কর্মী-সমর্থকের। সরকারি সূত্রের খবর, তাই রত্নাদেবীকে ওই পদ দিয়ে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল।