প্রকল্প এলাকায় রাস্তা কেটে তৈরি করা হচ্ছে জমি। বৃহস্পতিবার ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।
কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কথা রাখার কাজ শুরু করল সেচ দফতর।
সিঙ্গুরের প্রকল্প এলাকার মধ্যে থাকা প্রায় ৫০ একর জলাজমির জল সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হল বৃহস্পতিবার থেকে। এ দিন প্রকল্প এলাকায় মোট ৭০টি পাম্প চালায় সেচ দফতর। সেই জল কয়েকটি বিশেষ ভাবে তৈরি চ্যানেল (নালা) দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে। বাম আমলেই প্রকল্প এলাকার সীমানা-প্রাচীরের বাইরে নিকাশি নালা তৈরি করা হয়েছিল। এই কাজে সেগুলিকে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
টাটাদের প্রকল্পের স্বার্থেই জলের প্রয়োজনে জলমোল্লা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকা খনন করে ওই সব জলা তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েক বছরে স্থানীয়েরা প্রকল্প এলাকার ভাঙা পাঁচিল দিয়ে ঢুকে ওইসব জলায় এতদিন মাছ ধরতেন। এ দিন সিঙ্গুরে যান সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘জমিকে চাষযোগ্য করতে আমাদের দায়িত্ব পড়েছে ওইসব জলার জল সরিয়ে দেওয়া। দ্রুতগতিতে সেই কাজ চলছে। আপাতত ৭০টি পাম্প চলছে। প্রয়োজনে আরও আনা হবে।’’ জলার জল সরিয়ে দেওয়ার পরে চাষযোগ্য মাটি এনে জলার ফাঁকা জায়গা ভরাট করে দেওয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ‘‘আদালত নির্ধারিত নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। মাটি ফেলে জমি সমান করে চাষিদের চাষের উপযোগী করে জমি ফেরানোই আমাদের লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে এসে চাষিদের বারে বারে সে কথা বলে গিয়েছেন।’’
কিন্তু সব জলা বুজে গেলে চাষ হবে কী করে? মন্ত্রী জানান, পুরো প্রকল্প এলাকাকে মোট ১৩টি জোনে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। সেখানে সমীক্ষা অনুযায়ী আপাতত ৫৬টি মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে। সেইসব মিনি ডিপ টিউবওয়েল থেকেই চাষিদের চাষের জল দেওয়া হবে। চাষিদের প্রয়োজনে রাজ্য সরকার এই জমিতে ১৫৬টি মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসাতেও প্রস্তুত।