মাংস-কাণ্ডে কর্মবিরতি চলছেই হাওড়ায়

অপছন্দের মাংস সরবরাহ করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন জ়োম্যাটো-র ডেলিভারি বয়রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। যার জেরে অপছন্দের মাংস নিয়ে যেতে আপত্তি জানিয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন একটি অ্যাপ-নির্ভর খাবার সরবরাহকারী সংস্থার হাওড়া অঞ্চলের কর্মীরা। এ বার কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবিদাওয়া মিলছে না বলেও অভিযোগ তুললেন জ়োম্যাটো নামে ওই সংস্থার ডেলিভারি বয়রা।

Advertisement

অপছন্দের মাংস সরবরাহ করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন জ়োম্যাটো-র ডেলিভারি বয়রা। সোমবারও হাওড়ার একটি অংশে বন্ধ ছিল ওই পরিষেবা। আন্দোলনকারীদের দাবি, দাবিদাওয়া পূরণ না হলে কর্মবিরতি চালিয়েই যাবেন তাঁরা। অগস্ট মাসের গোড়ায় উত্তর হাওড়ার কয়েকটি রেস্তরাঁকে নিজেদের তালিকায় যুক্ত করে জ়োম্যাটো। তার পরেই অপছন্দের মাংস সরবরাহ করা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়।

হাওড়া শহরে জ়োম্যাটো-র দু’টি এলাকা রয়েছে। শিবপুর এলাকার মধ্যে রয়েছে শিবপুর, মন্দিরতলা, কদমতলা, রামরাজাতলা, বাকসাড়া-সহ আশপাশের এলাকা। আবার হাওড়া ময়দান, সালকিয়া, বেলুড় ও বালি নিয়ে হচ্ছে হাওড়া এলাকা। দু’টি এলাকাতেই প্রায় ২৫০ জন করে ডেলিভারি বয় রয়েছেন। মূলত হাওড়াতেই সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ বলে জানান ওই ডেলিভারি বয়রা। তাঁদের অভিযোগ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপছন্দের মাংসের পদ সরবরাহ করতে বাধ্য করছে সংস্থা। আপত্তি জানালেও শোনা হচ্ছে না। যদিও গত শনিবার জ়োম্যাটো তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছিল, এ দেশে নিরামিষ ও আমিষ সরবরাহের জন্য আলাদা লোক রাখা সম্ভব নয়। হাওড়ায় যে সমস্যা হচ্ছে, তা দ্রুত মিটে যাবে। এ দিন অবশ্য জ়োম্যাটো কিছু জানায়নি।

Advertisement

কর্মবিরতিতে শামিল ডেলিভারি বয়রা সোমবার অভিযোগ করেন, সংস্থা চালু হওয়ার সময়ে খাবার সরবরাহ করার জন্য বিশেষ ভাতা হিসেবে ১০০ টাকা করে দেওয়া হত। কমতে কমতে তা হয়েছে ২৫ টাকা। প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আগে যেখানে এক জন ডেলিভারি বয়ের মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা রোজগার হত, বিশেষ ভাতা কমে যাওয়ায় সেখানে এখন সাড়ে ছ’হাজার টাকার বেশি হচ্ছে না। আন্দোলনকারী কর্মীদের এক জন ব্রিজ বর্মা বলেন, ‘‘জীবন বিমা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, চিকিৎসা বিমা কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। কম বেতনে কাজ না করলে ছাঁটাইয়ের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দাবিদাওয়া মানা না হলে আমরা লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’’

এ বিষয়ে বিজেপির অবস্থান কার্যত স্ববিরোধী। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে কেউ ব্যবসা করলে তা বেশি দিন চলে না।’’ আবার তিনিই বলেন, ‘‘কোথাও কাজ করতে হলে, তার শর্তও মানতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement