Factory waste

গেঞ্জি কারখানার বর্জ্য থেকে দূষণের অভিযোগ

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই কারখানার বর্জ্যে গাজিপুর ছাড়াও গুজারপুর, মুক্তিরচক প্রভৃতি গ্রামে দূষণ ছড়াচ্ছে। চাষের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে না। ওই বর্জ্য পুকুরে পড়ায় প্রচূর মাছ মরছে। 

Advertisement

নুরুল আবসার

আমতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:২০
Share:

গেঞ্জি কারখানার দূষিত জল খালে ছড়িয়ে পড়ছে। — নিজস্ব চিত্র।

এলাকার গেঞ্জি কারখানার বর্জ্যে দূষণ হচ্ছে, এই অভিযোগে সোমবার দুপুরে এক ঘণ্টা আমতা-১ ব্লকের গাজিপুর পোলগোড়ায় বাগনান-আমতা রোড অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসী। মঙ্গল‌বার বিডিও সুজয় ধর কারখানা পরিদর্শনে এসে অভিযোগের সারবত্তা আছে বলে জানিয়ে দিলেন।

Advertisement

বিডিও বলেন, ‘‘আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি। কারখানা থেকে বর্জ্য এসে চাষের জমিতে মিশছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের কাগজ কারখানা কর্তৃপক্ষকে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। একইসঙ্গে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জমা জল বের করার কোনও ব্যবস্থা করা যায় কিনা, সেটাও ভেবে দেখা হবে। আমরা চাই কারখানা চলুক। কিন্তু দূষণ যেন না হয়।’’

সোমবার অবরোধের সময় গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, বার বার প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানিয়েও কাজ হয়নি। ব্লক প্রশাসনের কর্তারা ও পুলিশ গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

Advertisement

গাজিপুরে ওই কারখানাটি তৈরি হয় প্রায় আট বছর আগে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই কারখানার বর্জ্যে গাজিপুর ছাড়াও গুজারপুর, মুক্তিরচক প্রভৃতি গ্রামে দূষণ ছড়াচ্ছে। চাষের জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানের বীজতলা তৈরি করা যাচ্ছে না। ওই বর্জ্য পুকুরে পড়ায় প্রচূর মাছ মরছে।

গ্রামবাসীদের সঙ্গে একই অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। স্থানীয় বিজেপি নেতা পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘আমরাও দলের পক্ষ থেকে বহুবার ওই কারখানার দূষণের ব্যাপারটি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েছি। আমরা কারখানার বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই দূষণ বিধি মেনে কারখানা চলুক।’’ এলাকার সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কৃষক নেতা প্রত্যুষ মুখোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘দূষণ আইন মেনে কারখানা চালাতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে সেই দাবি করেছি।’’ কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement