বাঁশবেড়িয়ায় নজরদারিতে পুলিশ আধিকারিকেরা— ছবি সুশান্ত সরকার
করোনা-আবহে শুরু হল এ বছরের কার্তিক পুজো। বাঁশবেড়িয়া, মগরা ও চুঁচুড়ায় পুজোর ক’দিন রাস্তায় ভিড় যাতে কম হয়, তা নিশ্চিত করতে সোমবার থেকেই সক্রিয় পুলিশ। বেলা ১১টা নাগাদ বাঁশবেড়িয়ার একাধিক কার্তিক পুজোর মণ্ডপ পরিদর্শন করেন হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ। এ দিন থেকেই বাঁশবেড়িয়া, মগরা ও চুঁচুড়ায় শুরু হয়েছে কার্তিক পুজো। চলবে বুধবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার সকালে হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। পুজোর প্রথম দিন রাস্তায় তেমন ভিড় ছিল না।
এ দিন মগরা থানার আধিকারিকদের নিয়ে কার্তিক পুজোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন পুলিশ সুপার। তারপর বাঁশবেড়িয়ায় বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মগরা থানার ওসি সুব্রত দাস-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা। সাহাগঞ্জ বাঁশবেড়িয়া কেন্দ্রীয় কার্তিক পুজো কমিটির সভাপতি তথা বাঁশবেড়িয়ার পুরপ্রশাসক অরিজিতা শীল বলেন, ‘‘আমরা সব পুজো কমিটিকে জানিয়ে দিয়েছি, প্রত্যেক দর্শনার্থী যাতে মাস্ক পড়ে মণ্ডপে প্রবেশ করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। মণ্ডপের ঢোকার আগে স্যানিটাইজ়ার দিতে হবে দর্শনার্থীদের। কোনও পুজোকমিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবে না।’’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর জন্য বিকেল চারটে থেকে নো-এন্ট্রি থাকবে বাঁশবেড়িয়ায়। ভারী যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে মগরায় ৩০টি এবং চুঁচুড়ায় ২৮টি পুজো হয়। ওই দুই থানা এলাকায় সব মিলিয়ে একশোর বেশি কার্তিক পুজো হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভিড় বেশি হলে অটো ও টোটো বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিসর্জনের শোভাযাত্রা এ বার হবে না। দিনের বেলায় নিরঞ্জনপর্ব সেরে ফলেতে হবে। আমনদীপ বলেন, ‘‘ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলবে। রাস্তার মোড়ে, ও গঙ্গার ঘাটে বসানো ক্লোজ়ড সার্কিট ক্যামেরাতেও নজরদারি চলবে।’’ বাঁশবেড়িয়ার ১৩টি জায়গায় (নো এন্ট্রি পয়েন্ট) পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সাদা পোশাকে মহিলা ও পুরুষ পুলিশকর্মীরা বিভিন্ন মণ্ডপে ছড়িয়ে থাকবেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় মোটরবাইকে টহল দেবে পুলিশ। আগামী শুক্রবার ছট পুজোর দিন গঙ্গার ঘাটগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে ।