মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা চুঁচুড়ায়। ছবি: তাপস ঘোষ
করোনা-আবহে পুলিশের অনুমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও ৩০০ ফুটের জাতীয় পতাকা নিয়ে শনিবার, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চুঁচুড়ায় পদযাত্রার আয়োজন করেছিল হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। কিন্তু পুলিশের বাধায় শুরুতেই শেষ হয়ে গেল ওই কর্মসূচি। খাদিনা মোড় থেকে পদযাত্রা কয়েক ফুট এগোতেই পুলিশ আটকায়। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি হয়। শেষে জাতীয় পতাকা গুটিয়ে ফিরে যান মঞ্চের লোকজন। অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না।
পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে মঞ্চের জেলা সম্পাদক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবারই আমরা নানা কর্মসূচি পালন করি। এ বার ‘অখণ্ড ভারত তেরঙ্গা যাত্রা’র পরিকল্পনা করেছিলাম। পুলিশ আটকে দিল। এ রাজ্যে পুলিশ শাসকদলের হয়ে বিরোধীদের উপর আক্রমণ হানার চেষ্টা চালাচ্ছে। শাসকদলের মিটিং-মিছিলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীদের দেওয়া
হচ্ছে না।’’
অভিযোগ উড়িয়ে চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, অনুমতি ছাড়াই মিছিলের আয়োজন হওয়ায় তা আটকে দেওয়া হয়।
মঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদিনা মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। জিটি রোড ধরে হুগলির মোড়, পিপুলপাতি হয়ে শেষে ঘড়ির মোড়ে পৌছনোর কথা ছিল। সংগঠনের কয়েকশো সদস্য-সমর্থকেরা সকাল থেকেই খাদিনা মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। জিটি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিছিল শুরু হতেই খাদিনা মোড়ের কাছেই পুলিশ আটকে দেয়।
এ দিনই ১২০ মিটার লম্বা জাতীয় পতাকা নিয়ে শ্রীরামপুরের নওগাঁ মোড় থেকে শেওডাফুলি পর্যন্ত বিজেপির পদযাত্রাও পুলিশ আটকায়। এখানে মিছিল এগোতেই পারেনি। করোনা-আবহে সুরক্ষা-বিধি অমান্য করে জমায়েতের কারণে ৩২ জনকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই পদযাত্রারও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, ‘‘এটা দলীয় মিছিল ছিল না। দলের কোনও পতাকাও ছিল না। পুলিশ অন্যায় ভাবে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আটক করে। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দিল না প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় সুরক্ষা-বিধি উপেক্ষা করে সভা ও মিছিল করছে।’’