কবর খুঁড়ে দেহ তুলল পুলিশ

কর্মসূত্রে ইনতিয়াজের পরিবার হায়দরাবাদের বাসিন্দা। গত মে মাসে ঠাকুমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই যুবক সিঙ্গুরে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গত ২৪ মে দুই বন্ধু খেতে জল দিতে যাওয়ার নাম করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানেই ইনতিয়াজ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৭ ০২:১৫
Share:

উদ্ধার: কবর তুলে দেহ তুলে পাঠানো হচ্ছে ময়নাতদন্তে। নিজস্ব চিত্র

মাস কয়েক আগে মৃত এক যুবকের দেহ কবর খুঁড়ে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ। রবিবার সিঙ্গুরের কেজিডি পঞ্চায়েতের মধ্যহিজালয় এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম শেখ ইনতিয়াজ (২২)।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে ইনতিয়াজের পরিবার হায়দরাবাদের বাসিন্দা। গত মে মাসে ঠাকুমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই যুবক সিঙ্গুরে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গত ২৪ মে দুই বন্ধু খেতে জল দিতে যাওয়ার নাম করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানেই ইনতিয়াজ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ওই যুবকের বাবা শেখ ইয়াসিন জানান, ছেলের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে তাঁরা সিঙ্গুরে আসেন। তবে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ভেবে তখন বিষয়টি নিয়ে থানা-পুলিশ করেননি। শেষকৃত্য সম্পন্ন করে তাঁরা হায়দরাবাদে ফিরে যান। ইয়াসিন বলেন, ‘‘ওখানে গিয়ে ছেলের মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে একটি রেকর্ডিং শুনে বুঝতে পারি, ওই দুই বন্ধু ছেলেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে মেরে ফেলেছে।’’ এর পরেই তিনি গ্রামে ফিরে এসে সিঙ্গুর থানায় ইনতিয়াজের ওই দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ইয়াসিনের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ ঠিকঠাক তদন্ত না করায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। আদালতের নির্দেশেই পুলিশ তৎপর হল। আশা করছি, তদন্তের অগ্রগতি হবে।’’

Advertisement

হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের আধিকারিকদের বক্তব্য, যথাযথ ভাবেই তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল চন্দননগর আদালতে। আদালতের অনুমতি পেয়েই তা করা হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement