প্রতীকী ছবি।
হাওড়ার শিবপুরে অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকাটিকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করল হাওড়া সিটি পুলিশ। সেখানে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্তারা। তাঁরা জানান, শিবপুরে জি টি রোডের কাছে পিএম বস্তি সংলগ্ন এলাকায় আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। বাড়ানো হবে গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতাও।
গত ১৬ নভেম্বর শিবপুরের রামকৃষ্ণপুরের তালতলায় ভরসন্ধ্যায় প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল মহম্মদ আবদুল্লা নামে এক দুষ্কৃতীকে। ওই ঘটনার পরে ১০ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, শুধু তালতলা নয়, শিবপুরে জি টি রোডের কাছে পিএম বস্তি সংলগ্ন এলাকাতেও বছর দুয়েকের মধ্যে প্রকাশ্যে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে শিবপুরে খুন হয়েছিলেন মানোয়ার আলি ওরফে জিজুয়া। তাঁকেও জি টি রোডের ধারে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে আরও এক যুবককে পিএম বস্তির কাছেই প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুন করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বার বার প্রকাশ্যে এ ভাবে খুনের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তিত হাওড়া সিটি পুলিশ। তাই হাওড়ার শিবপুর এলাকাটিকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা।
পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। আরও সিসি ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন। মহম্মদ আবদুল্লাকে খুনের তদন্তে দু’দিন আগেই শিবপুর এলাকায় গিয়েছিলেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল–সহ সিটি পুলিশের একাধিক কর্তা। সেখানেই তাঁরা ওই এলাকা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘শিবপুরে গত দু’বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাই ওই এলাকাটিকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বসানো হচ্ছে আরও কিছু সিসি ক্যামেরা।’’
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, শিবপুরের মতো হাওড়ার অন্য অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলিতেও আরও বেশি সংখ্যক সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে প্রকাশ্যে অপরাধের ঘটনা ঘটলেই অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা যায়।