বাগনানে নেতা খুনে ধৃত ছয়

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০১:২৭
Share:

মহসিন আলি খান। —নিজস্ব চিত্র।

বাগনানের নপাড়ার তৃণমূল নেতা মহসিন খান খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে হাওড়ার নানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ছ’জনকে ধরা হয়। তবে, মূল অভিযুক্ত আশরাফ আলি মিদ্যা ও তার ভাই সুবেদার আলি মিদ্যা-সহ বাকি পনেরোজনকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পারেনি। ধৃতদের বুধবার উলুবেড়িয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক চারজনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত আর বাকি দু’জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, বাকি অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

গত সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে নিজের স্কুটারে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন মহসিন। খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তৃণমূলের অভিযোগ, মহসিনের রাজনৈতিক প্রতিপত্তিতে ঈর্ষান্বিত হয়েই তাঁকে খুন করে গ্রামেরই বাসিন্দা, বিজেপি-ঘনিষ্ঠ আশরাফ ও তার ভাই। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বাকিরা। বিজেপি অবশ্য দাবি করে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন হন ওই তৃণমূল নেতা।

অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে ওই রাতে এবং পরের দিন রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। আশরাফের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে থানায়। কিছুদিন ধরেই আশরাফ যে মহসিনকে খুনের চক্রান্ত করছিল, তা আগে বারবার জানানো হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। মঙ্গলবার মহসিনের দেহ নিয়ে বিকেলে বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন এবং উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ গ্রামে এলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ তাঁদের ঢুকতে বাধা দেন। দু’জনেই প্রতিশ্রুতি দেন আশরাফ, সুবেদার এবং অন্য অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে তাঁরা প্রশাসনকে চাপ দেবেন। এরপরে আর কোনও সমস্যা হয়নি। তবে, তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, সব অভিযুক্তকে ধরা না-হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement