দুর্ঘটনার পর এমনই হাল হয়েছিল পুলকারটির। ফাইল ছবি
অবশেষে চোখ খুলল পুলিশের!
পোলবায় দিল্লি রোডে পুলকার দুর্ঘটনার পরে স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নড়েচড়ে বসল হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশ এবং চন্দননগর কমিশনারেট। রবিবার চন্দননগর কমিশনারেটের সব থানার আইসি-ওসি এবং ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর। পুলকারে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা কী ভাবে আটোসাঁটো করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, পুলকার নিয়ে যে সব পদক্ষেপ করা হবে, তার রূপরেখা তৈরি হয়েছে বৈঠকে।
সিপি বলেন, ‘‘কমিশনারেটের সাতটি থানা এলাকায় যে সব স্কুলে বাচ্চারা পুলকারে যাতায়াত করে, সব জায়গাতেই পুলিশ নিয়মিত নজরদারি চালাবে। প্রতিটি থানা এলাকায় যে সব পুলকার চলে এবং যাঁরা সেই গাড়ি চালান তাঁদেরও তালিকা তৈরি করা হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলকার সংগঠনের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’’
আজ, সোমবার হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশের তরফেও সদর মহকুমার সমস্ত থানার আইসি-ওসিদের নিয়ে পুলকারের বিষয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রশাসন এবং পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদেরও ওই বৈঠকে থাকার কথা। গ্রামীণ পুলিশ এলাকায় বর্তমানে মোট ১৬টি থানা রয়েছে। পুলিশকর্তারা জানান, কিছু স্কুলে শিশুরা পুলকারে যাতায়াত করে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুরা অন্য এলাকায় স্কুলে যায় পুলকারে চেপে। তাদের যাতায়াতের পথের নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘পুলকার নিয়ম মেনে চলছে কিনা, সেই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে। নিয়ম ভেঙে যাতে কোনও পুলকার না চলতে পারে, সেই জন্য সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলব।’’