ধরপাকড়: ফোনে কথা বলে দেখেই চালককে ধরল পুলিশ। উলুবেড়িয়ায়। ছবি: সুব্রত জানা
মোবাইল কানে গাড়ির চালক— দেখতে পেলেই ছবি তুলুন। তারপর সোজা হোয়াটসঅ্যাপ করে দিন পুলিশের নম্বরে। কলকাতা পুলিশ আগেই জানিয়েছে সাধারণ মানুষকে। এ বার ঘোষণা করল হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশও।
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানোর জন্য গত তিন দিনে ৪০ জন চালকের লাইসেন্স বাতিল করেছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ। এর মধ্যে যেমন আছেন বাসচালক, তেমনই গাড়ি এবং ট্রাক চালকও আছেন।
গত ২৯ জানুয়ারি সকালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের কাছে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময়ে সরকারি বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। সেতুর রেলিং ভেঙে ঝিলের জলে পড়ে যায় বাস। মৃত্যু হয় ৪৪ জনের। বাঁচেননি চালকও। ওই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে মোবাইল ফোন কানে নিয়ে গাড়ি চালানোর উপরে কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
অসচেতন: পুলিশের নির্দেশ উড়িেয় ফোনে কথা বলতেই গাড়ি চালাতে ব্যস্ত চালক। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। নিজস্ব চিত্র
জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘কোনও গাড়ি চালকই মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাতে পারবেন না। আমরা লাগাতার অভিযান চালাব।’’
ইতিমধ্যেই প্রতিটি থানা এলাকায় বাস ও ট্রাক চালকদের বিভিন্ন সংগঠনকে ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে পুলিশ। মোবাইল কানে গাড়ি চালাতে দেখলে লাইসেন্স তো বাতিল হবেই, গ্রেফতারও করা হতে পারে চালককে। রানিহাটি, নিমদিঘি মোড়, আলমপুর প্রভৃতি জায়গায় পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতা শিবির করা হবে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ জেলা পুলিশের কর্তারা। সেখানে সাধারণ মানুষকেও ডাকা হবে। তাঁদের কাছে পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা কোনও চালক মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছেন— এমন দৃশ্য দেখতে পেলে ছবি তুলে তা পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি সচেতনতা শিবির করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।