প্রতীকী ছবি।
বিনা চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকালে ধুন্ধুমার চলল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। মৃত শিশুর পরিবার ও পাড়ার লোকজনের বিরুদ্ধে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালাবার অভিযোগ উঠল। ভাঙচুর চলল হাসপাতালের সুপারের অফিসেও। আছাড় মেরে ভাঙা হল কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার। ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হল সংবাদমাধ্যম। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে র্যাফও।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয় হাওড়া পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছিয়ার বাসিন্দা বরাজ সাউ ও পূজা সাউয়ের এক বছরের কন্যা পিউ সাউ। ওই শিশুটির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রচণ্ড অসুস্থতা নিয়ে শিশুটিকে ভর্তি করা হলেও বিকেল পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক তাকে দেখতে আসেনি। বিকেলে নার্সদের থেকে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন শিশুটি অনেক ক্ষণ আগেই মারা গিয়েছে।
শিশুটির পিসি লালি সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘আমরা ১২টা থেকে বসে আছি। এক জন ডাক্তারও আসেননি ওকে দেখতে। বিনা চিকিৎসায় আমাদের মেয়েটা মারা গেল।’’ পুলিশ জানায়, ওই শিশু মৃত্যুর খবর পাড়ায় পৌঁছনোর পরেই লোকজন হাসপাতালে ছুটে এসে প্রথমে শিশু ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালান। এর পরে তার নীচের তলায় থাকা হাসপাতালের সুপারের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সেই ছবি তুলতে গেলে আক্রান্ত হন একটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরাপার্সন। তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাঁকে মারধর করেন শিশুটির পরিজন ও প্রতিবেশীরা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাওড়া জেলা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয়। শিশুটি খুব খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিল। চিকিৎসকেরা সারাক্ষণ ওর মাথায় সামনেই ছিলেন। তার পরেও এ ভাবে ভাঙচুর চালানো হল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’