মাছ মরে ভেসে উঠল বেলিলিয়াস পার্কের লেকে

একটি টাওয়ার তৈরির জন্য গত কয়েক বছর ধরে টিকিয়াপাড়া স্টেশনের কাছে বেলিলিয়াস পার্কটি বন্ধ রয়েছে। তারই মধ্যে সেখানকার লেকে গত কয়েক দিন ধরেই মাছ মরে ভেসে উঠছিল বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯ ০১:১১
Share:

বেলিলিয়াস পার্কের জলাশয়ে ভেসে ওঠা মাছ। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

বটানিক্যাল গার্ডেনের পরে এ বার হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্কের লেকে ভেসে উঠল মরা মাছ। শুক্রবার জেলাশাসকের কাছ থেকে ওই অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন মৎস্য দফতর এবং হাওড়া পুরসভার খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা। মৎস্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরের নির্দেশে পৈলান গবেষণাগার থেকে বিশেষজ্ঞ দল এসে লেকের জলের নমুনা সংগ্রহ করে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার রিপোর্ট জেলাশাসক এবং পুরসভাকে জানানো হবে।

Advertisement

একটি টাওয়ার তৈরির জন্য গত কয়েক বছর ধরে টিকিয়াপাড়া স্টেশনের কাছে বেলিলিয়াস পার্কটি বন্ধ রয়েছে। তারই মধ্যে সেখানকার লেকে গত কয়েক দিন ধরেই মাছ মরে ভেসে উঠছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা শুনে রাজ্য মৎস্য দফতরে অভিযোগ জানান হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য। শুক্রবার সকালে ফের মাছ মরে ভেসে ওঠার খবর পেয়ে পুরসভার

ফুড সেফটি অফিসার এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জেলা মৎস্য দফতরের সহ-অধিকর্তা চন্দ্রভাল দত্ত। লেক পরিদর্শন করার পাশাপাশি তাঁরা থার্মোমিটার দিয়ে জলের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেন। সংগ্রহ করেন জল এবং মরা মাছের নমুনা। পৈলানে মৎস্য দফতরের গবেষণাগারে সেই জল এবং মরা মাছের নমুনা পরীক্ষা করে ঘটনার কারণ খোঁজা হবে বলে মৎস্য দফতর সূত্রের খবর।

Advertisement

ঘটনা প্রসঙ্গে চন্দ্রভালবাবু বলেন, ‘‘মূলত দু’টি কারণে এমন ঘটতে পারে। প্রথমত, জলে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে এবং দ্বিতীয়ত, জলে বিষক্রিয়া হলে।’’ মৎস্য দফতরের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শীতের মরসুমে কখনও কখনও জলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার পার্কের ব্যাঙ্কোয়েট হলে মাঝেমধ্যে অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানের উচ্ছিষ্ট খাবার কেউ জলে ফেললে সেখান থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে। তবে নমুনা পরীক্ষার পরেই আসল কারণ জানা যাবে।

হাওড়া পুরসভার খাদ্য দফতরের আধিকারিক সোহিনী ঘোষ জানান, মৎস্য দফতরের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পার্কের লেক দেখভালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বেলিলিয়াস পার্কটি হাওড়া পুরসভার হলেও বাম জমানায় সেটি স্থানীয় এক সংস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে লিজ দিয়েছিল তারা। এই পার্কে বর্তমানে অনুমতিপ্রাপ্ত প্রাতর্ভ্রমণকারী ছাড়া সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। সেই প্রাতর্ভ্রমণকারীরাই বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরেন বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। লিজপ্রাপ্ত ওই সংস্থার কর্ণধার রামরতন চৌধুরী বলেন, ‘‘ওই লেকে প্রচুর মাছ আছে। মনে হচ্ছে অক্সিজেনের অভাবেই এমন ঘটেছে। জলে বিষক্রিয়ায় নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement