শেওড়াফুলির চাতরা বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে গ্রাহকদের ভিড়। সোমবার। — নিজস্ব িচত্র
শ্রীরামপুরের সুভাষনগর হাউজ়িং কমপ্লেক্সের বাসিন্দা সঞ্জয় সিংয়ের তিন মাসের বিদ্যুতের খরচ ছিল মেরেকেটে পাঁচশো টাকা। গত তিন মাসের (মে-জুলাই) বিদ্যুৎ বিল বাবদ তাঁর থেকে ১৪,১৯০ হাজার টাকা দাবি করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা! একই এলাকার রোহিত হেলার হাতে ওই তিন মাসের জন্য ১৪,৩৭৩ টাকার বিল ধরিয়েছে বণ্টন সংস্থা। শুধু ওই দুই গ্রাহক নন, এমন অনেকের বাড়িতেই অস্বাভাবিক অঙ্কের বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ জানাতে সোমবার ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের একাংশ হাজির হয়েছিলেন শেওড়াফুলি চাতরা মরাদানে বণ্টন সংস্থার গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। তাঁরা সংখ্যায় এতই বেশি ছিলেন যে, অভিযোগ জানাতে অনেককেই অপেক্ষা করতে হয় কয়েক ঘণ্টা।
সঞ্জয় ও রোহিতবাবুর অভিযোগ, ‘‘অস্বাভাবিক অঙ্কের বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছে। অভিযোগপত্র জমা দিতে এসেছি। কেন এত বেশি টাকার বিল পাঠানো হল, তার উত্তর দেওয়ার মতো কেউ নেই অফিসে। এখানে এসে নাজেহাল হতে হচ্ছে।’’
শ্রীরামপুরের দক্ষিণ রাজ্যধরপুরের বাসিন্দা আভা সাঁতরার দাবি, তিন মাসের বিদ্যুৎ খরচ হিসাবে প্রচুর টাকা তাঁর থেকে দাবি করেছে বণ্টন সংস্থা। তাঁর কথায়, ‘‘করোনা-পরিস্থিতিতে কলকারখানা সব বন্ধ। এত টাকা কী ভাবে মেটাব? অভিযোগ জানাতে এসে দেখি বিরাট লাইন পড়েছে। এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’’
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার শ্রীরামপুর ডিভিশনের এক আধিকারিক জানান, করোনা-পরিস্থিতির জন্য ‘মিটার রিডিং’ নেওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য বিদ্যুৎ রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশে গত বছর এই সময় বিদ্যুৎ বিল যা ছিল, সেই মোতাবেক আনুমানিক বিল পাঠানো হয়েছে গ্রাহকদের। এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে গ্রাহকেরা তা জানাতে পারেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। বেশি টাকা নেওয়া হলে পরের বিলে ‘অ্যাডজাস্ট’ করে দেওয়া হবে।