গলায় ফাঁস দিয়ে মেয়েকে খুনের অভিযোগ ছিল বাবা ও সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালের ৩০ মে খানাকুলের কুড়কুড়ি গ্রামের সেই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা নিমাই শাসমল এবং সৎ মা পূর্ণিমা শাসমলকে মঙ্গলবার ফাঁসির সাজা শোনালেন আরামবাগ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (সেকেন্ড কোর্ট) শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ মে বিকেল ৫টা নাগাদ দেবযানী শাসমল (১৪) নামে কিশোরী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার মামার বাড়ি কনকপুরে খবর দেওয়া হয়। মামা অমর আদক ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেবযানীর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ আসে। অমরবাবু পুলিশে কাছে ভাগ্নীকে খুন করা হয়েছে হলে অভিযোগ দায়ের করেন। অমরবাবুর অভিযোগ, ‘‘জামাই নিমাই শাসমলের অত্যাচারে আমার বোন আত্মঘাতী হয়। প্রতিবেশীদের চাপে বোনের দুই মেয়ের নামে তার সব সম্পত্তি লিখে দিতে হয়। বড় মেয়ের বিয়ের পর জামাই দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার পর থেকেই ভাগ্নীর নামে যে সব সম্পত্তি লিখে দেওয়া হয়েছিল তা নিমাই ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার চাপ দেওয়া হতো ভাগ্নীকে। ভাগ্নী তা করতে সম্মত না হওয়ায় তাকে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে।’’
সরকারি আইনজীবী নবকুমার মজুমদার বলেন, ‘‘১১ জনের সাক্ষ্য এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারক ফাঁসির সাজা দিয়েছেন।’’