তাঁদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার কাজ বন্ধ করে দেন হাওড়ার দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতের কর্মীরা। শুধু এদিনই নয়, আজ মঙ্গলবারও তাঁরা কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন। এতেও সমস্যা না মিটলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে তৃণমূল কর্মী সংগঠনের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ফর্ম জমা নেওয়াকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার গোলমাল বাধে। গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। কয়েকজন পঞ্চায়েতের সচিব বিকাশ ঘোষের উপরেও চড়াও হয় ও তাঁকে চড়-চাপড় মারে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পঞ্চায়েত কর্মীরা। হামলাকারীরা অফিসের চেয়ার-টেবিল উল্টে দেয়। পঞ্চায়েতের তরফে সাঁকরাইল থানায় এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে এদিন পঞ্চয়েতে কাজ বন্ধ করে দেন কর্মীরা। ফলে পঞ্চায়েতে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়। পঞ্চায়েতে নানা কাজে আসা লোকজন হয়রান হন।
পঞ্চায়েতি রাজ এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের হাওড়ার কার্যকরী সভাপতি সুজয় সরকার জানান, পঞ্চায়েতে কাজ বন্ধের জেরে প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে এর জন্য কর্মীরা পরে কাজ করে দেবেন। কিন্তু যা ঘটেছে তার সঙ্গে কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। তবে অভিযুক্তরা যদি তাঁদের কাছে ক্ষমা চান এবং মুচলেকা দেন যে এ ধরনের ঘটনা আগামী দিনে ঘটবে না তাহলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে। না হলে তাঁরা বড় আন্দোলন করবেন। বিডিও প্রসেনজিত ঘোষ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধর ও তার জেরে কাজ বন্ধ, কোনওটাই বাঞ্ছনীয় নয়। পঞ্চায়েতে যাতে কাজকর্ম স্বাভাবিক থাকে সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।