ঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছও। বুধবার আরামবাগের কোর্টপাড়ায়। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
এক সপ্তাহ আগের আমপানের ক্ষত এখনও মেরামত হয়নি। বুধবার বিকেলে মিনিট দশেকের ঝড়ে ফের তছনছ হল আরামবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ে গাছ পড়ে মৃত্যু হল এক জনের। আহত হলেন এক মহিলা-সহ দু’জন। ফের বাড়ির খড় ও অ্যাসবেসটনের ছাউনি উড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হলেন বহু মানুষ। ভেঙে পড়ল বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের হরাদিত্য গ্রামে গাছ পড়ে লালমোহন রায়গুপ্ত (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুরের বাসিন্দা ময়না দাস এবং আরামবাগের ভালিয়া গ্রামের স্বপন মাজি। স্বপনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে। আহত মহিলা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রাত পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ হিসেব মেলেনি। তবে, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগ ডিভিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যা খবর পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে আমপানেও এত হয়নি। রাত ৯টা পর্যন্ত পুরো মহকুমা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।’’ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও।
ঘূর্ণিঝড় আমপানে বিধ্বস্ত হয় গোটা হুগলি জেলা। অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। জল-বিদ্যুৎ পরিষেবা এখনও পুরো স্বাভাবিক হয়নি। রাত জেগে কাজ করে চলেছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তার মধ্যে বুধবার বিকেলের মিনিট দশেকের ঝড় ওলট-পালট করে সব কিছু। এ দিন ঝড়ের
সঙ্গে বাজও পড়েছে। ফের চণ্ডীতলা, মশাট, জঙ্গলপাড়া, পান্ডুয়া-সহ হুগলির বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরামবাগ মহকুমা। বিদ্যুৎ দফতরের হিসাব বলছে, শুধু আরামবাগ শহরেই চারটি বিদ্যুতের খউঁটি ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি আবার কবে স্বাভাবিক হবে, দিন গোনা শুরু করেছেন দুর্গতেরা। হাওড়ােতও ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু এলাকা। দূর্ভোগ বাড়ে মানুষের।