ঘেঁষাঘেঁষি: দূরত্ব-বিধি শিকেয় তুলেই চলছে বিকেলের আড্ডা। কারও কারও মুখে নেই মাস্কও। মঙ্গলবার, হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
বায়ুদূষণ কমাতে দিল্লি পুলিশ গাড়ির ক্ষেত্রে যে ভাবে ‘জোড়-বিজোড়’ ব্যবস্থা চালু করেছিল, হাওড়ায় করোনা মোকাবিলায় দোকান খোলার ক্ষেত্রে এ বার তেমনই ব্যবস্থা চালু করল পুলিশ। উত্তর হাওড়ার মালিপাঁচঘরা এলাকায় করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় দিল্লি পুলিশের মতোই জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে দোকান খোলার অনুমোদন দিতে উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। এ ব্যাপারে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় অরবিন্দ রোড ব্যবসায়ী সমিতিও।
হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রের খবর, সালকিয়া চৌরাস্তা ও হরগঞ্জবাজার এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় হতে থাকায় চিন্তায় পড়েছিলেন পুলিশকর্মী ও ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই ওই এলাকায় ঘোষিত কন্টেনমেন্ট জ়োন রয়েছে তিনটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় মালিপাঁচঘরা থানার অফিসারেরা এ নিয়ে অরবিন্দ রোড ব্যবসায়ী সমিতির দ্বারস্থ হন। ব্যবসায়ীদের কাছে জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে দোকান খোলার আবেদন জানানো হয়। সেই সঙ্গে ভিড় এড়াতে হরগঞ্জ বাজার সপ্তাহে তিন দিন খোলা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অরবিন্দ রোড ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তী মঙ্গলবার বলেন, ‘‘পুলিশের অনুরোধে জোড়-বিজোড় নীতি মেনেই আমার দোকান খুলছি। অর্থাৎ, যিনি আজ দোকান খুলবেন, কাল তাঁর দোকান বন্ধ থাকবে। ঠিক সে ভাবেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে তিন দিন বাজার খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় হরগঞ্জ বাজার সোমবার থেকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। সপ্তাহে যে তিন দিন ওই বাজার খোলা হবে, সেই তিন দিন বাজারের ছ’টি গেটের মধ্যে চারটি বন্ধ রাখা হবে। অরবিন্দ রোড ও শম্ভুনাথ হালদার রোডের দিকের গেট খোলা থাকবে। যাঁরা বাজার করতে আসবেন, তাঁদের মাস্ক পরতেই হবে। গেটের সামনে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এক জনকে রাখা হবে, যিনি বাজারে ঢোকার আগে ক্রেতার হাত স্যানিটাইজ় করবেন। কোনও ক্রেতা যে গেট দিয়ে ঢুকবেন, সেই গেট দিয়ে বেরোতে পারবেন না। বেরোতে হবে অন্য গেট দিয়ে।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সালকিয়া এলাকায় মানুষ যে ভাবে ভিড় করছেন, তা খুবই উদ্বেগজনক। কোভিড নিয়ন্ত্রণে তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাওড়ার অন্য বাজার ও দোকানগুলিতেও এমন ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।’’